পর্যটন ডেস্ক: বিশাল বিস্তৃত চর প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্য নিয়ে গড়ে উঠেছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা রিসোর্ট।

রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে লৌহজং উপজেলার সামনে নদীর পাড়ে দাঁড়ালেই মনোমুগ্ধকর এই পর্যটন কেন্দ্রটি। নদীর পাড়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা অথবা স্পিডবোট থাকে। এগুলো পৌঁছে দেবে পদ্মা রিসোর্টে। রিসোর্টে যাওয়ার আগে বুকিং নিশ্চিত করা প্রয়োজনীয়। রিসোর্টের কর্মীরা নিয়ে যাবে বুকিং রুমে। রুমে ঢুকেই নিচতলায় সোফা ও টেবিল সজ্জিত লিভিং রুম। দেড় তলায় অত্যাধুনিক ফিটিংসসহ (কমোড, বেসিন, লুকিং গ্লাস, টেলিফোন, শাওয়ার প্রভৃতি) দিয়ে তৈরি বাথরুম। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দুটি সুসজ্জিত সিঙ্গেল বেড। রিসোর্টটির চারদিকে পদ্মা নদী প্রবাহিত হওয়ায় সার্বক্ষণিক মৃদুমন্দ ঠান্ডা বাতাস বিরাজ করে।

পদ্মা রিসোর্টে রয়েছে সুসজ্জিত রেস্টুরেন্ট, যা ২০ থেকে ২৫টি টেবিল-চেয়ার দিয়ে সাজানো। এখানে দুই শতাধিক মানুষের লাঞ্চ বা ডিনারসহ যেকোনো পার্টি আয়োজনের সুযোগ রয়েছে। রিসোর্টের ফুড মেন্যু দেখে তিন থেকে চারজনের জন্য একটি টেবিল বুক করা যায়। জনপ্রতি লাঞ্চ বা ডিনারের দাম পড়বে ৩০০ টাকা। রাতযাপন করতে গেলে একটি রুমের ভাড়া পড়ে তিন হাজার টাকা।

এ রিসোর্টে রয়েছে ১৬টি ডুপ্লেক্স কটেজ। প্রতিটিতে আছে একটি বড় বেডরুম, দুটি সিঙ্গেল বেডরুম ও একটি ড্রইংরুম। আছে দুটি ব্যালকনি ও একটি বাথরুম। শীতের সময় কটেজের চারপাশ রংবেরঙের ফুলে ভরে ওঠে আর বর্ষার পানিতে টইটম্বুর। রিসোর্টের উঠোনে ইজি চেয়ারে বসে চাঁদনি রাতের মুগ্ধতা উপভোগের সুযোগ। দিনে দেশি পালতোলা ডিঙি নৌকায় পদ্মায় বেড়ানো যায়।

রিসোর্ট রেস্টুরেন্টে রয়েছে পদ্মার টাটকা ইলিশ ভাজা। খাবারের মেন্যুতে শাকসবজি, গরু, মুরগি আর হাঁসের মাংসও পাবেন। মৌসুমি ফলও মিলবে এখানে।

পদ্মা রিসোর্টে যাওয়া : রাজধানীর গুলিস্তান থেকে বাসে করে যেতে হবে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে। সেখান হতে মাওয়া ফেরিঘাট। মাওয়া ফেরিঘাট থেকে রিসোর্টের নিজস্ব স্পিডবোটে করে সরাসরি পদ্মা রিসোর্টে যাওয়া যাবে। লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে রিসোর্টে যাওয়ার জন্য নিজস্ব স্পিডবোট বা ইঞ্জিনচালিত ট্রলারেও যেতে পারবেন। একদিনের রিসোর্টের কটেজ ভাড়া সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। আর ২৪ ঘণ্টার জন্য সকাল থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত ভাড়া নেবে তিন থেকে ৪ হাজার টাকা।

এসএস//