Dhaka ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

উচ্চ মাধ্যমিকে থাকছে না কোনো বিভাগ, শিক্ষা হবে কর্মমুখী

  • Update Time : ০৫:০২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ২০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ২০২২ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে থাকছে না মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ।

নতুন নিয়মে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন ছাড়াই পড়বেন শিক্ষার্থীরা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় এই প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে উচ্চশিক্ষায় প্রবেশে পছন্দের বিষয় ভর্তিচ্ছুদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মাধ্যমিকেরও বিভাগ তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দশম শ্রেণির পাঠ্য থেকে মাধ্যমিকের পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নতুন রূপরেখা অনুযায়ী, শিক্ষাক্ষেত্রে পাঁচটি ধাপ রয়েছে। সেগুলো হলো, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা। এছাড়া, প্রস্তাবিত কারিকুলাম অনুযায়ী মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা সব ধরনের বিষয় নিয়ে পড়বে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। এই স্তরের শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ থাকবে না। রূপরেখায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে আবশ্যিক বিষয়ের জন্য বরাদ্দ থাকবে মোট শিখন সময়ের ২৫ শতাংশ। আর নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ের জন্য মোট শিখন সময়ের ৭৫ শতাংশ সময় বরাদ্দ থাকবে। পাশাপাশি একটি ঐচ্ছিক প্রায়োগিক বিষয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আলাদা সময় বরাদ্দ করবে।

এ বিষয়ে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের বিভাজন থাকবে না। তবে শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো পড়তে পারবে। আগের মতো গ্রুপ চিহ্নিত করা হবে না। শিক্ষার্থীরা আবশ্যিক তিনটি বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে নৈর্বাচনিক ও ঐচ্ছিক বিষয় নির্বাচন করতে পারবে।’প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘এতে বিজ্ঞান, ব্যবসা কিংবা মানবিক বিভাগের যে বিষয় পড়বেন, সে পথ উন্মুক্ত থাকবে। উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের লক্ষ্যেও বিষয় নির্বাচন করতে পারবেন শিক্ষার্থী।’ উচ্চ মাধ্যমিক ও এর পরবর্তী সময়ে বিশেষায়িত ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পেশাগত প্রস্তুতি নিতে পারবে বলেও তিনি মনে করেন।

এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

উচ্চ মাধ্যমিকে থাকছে না কোনো বিভাগ, শিক্ষা হবে কর্মমুখী

Update Time : ০৫:০২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ২০২২ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে থাকছে না মানবিক, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ।

নতুন নিয়মে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন ছাড়াই পড়বেন শিক্ষার্থীরা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় এই প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে উচ্চশিক্ষায় প্রবেশে পছন্দের বিষয় ভর্তিচ্ছুদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মাধ্যমিকেরও বিভাগ তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দশম শ্রেণির পাঠ্য থেকে মাধ্যমিকের পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নতুন রূপরেখা অনুযায়ী, শিক্ষাক্ষেত্রে পাঁচটি ধাপ রয়েছে। সেগুলো হলো, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা। এছাড়া, প্রস্তাবিত কারিকুলাম অনুযায়ী মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা সব ধরনের বিষয় নিয়ে পড়বে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। এই স্তরের শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ থাকবে না। রূপরেখায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে আবশ্যিক বিষয়ের জন্য বরাদ্দ থাকবে মোট শিখন সময়ের ২৫ শতাংশ। আর নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ের জন্য মোট শিখন সময়ের ৭৫ শতাংশ সময় বরাদ্দ থাকবে। পাশাপাশি একটি ঐচ্ছিক প্রায়োগিক বিষয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আলাদা সময় বরাদ্দ করবে।

এ বিষয়ে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের বিভাজন থাকবে না। তবে শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো পড়তে পারবে। আগের মতো গ্রুপ চিহ্নিত করা হবে না। শিক্ষার্থীরা আবশ্যিক তিনটি বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে নৈর্বাচনিক ও ঐচ্ছিক বিষয় নির্বাচন করতে পারবে।’প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, ‘এতে বিজ্ঞান, ব্যবসা কিংবা মানবিক বিভাগের যে বিষয় পড়বেন, সে পথ উন্মুক্ত থাকবে। উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের লক্ষ্যেও বিষয় নির্বাচন করতে পারবেন শিক্ষার্থী।’ উচ্চ মাধ্যমিক ও এর পরবর্তী সময়ে বিশেষায়িত ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পেশাগত প্রস্তুতি নিতে পারবে বলেও তিনি মনে করেন।

এসএস//