সারাদেশ ডেস্ক : আজ ১ ডিসেম্বর। গৌরবময় বিজয়ের ৪৯ বছর পূর্ণ হলো। ১৯৭১ সালে এ মাসে গোটা জাতি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মুক্তির স্বাদ লাভ করে।
বিজয়ের এ মাসের সাথে জড়িয়ে আছে কোটি মানুষের আবেগময় স্মৃতি। বিশেষ করে যারা বিজয় দেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। গোটা বিজয়ের মাসই তাদের কাছে একটি পরম পাওয়ার মাস। বাঙালি জাতির বীরত্ব, সাহসিকতা এবং ত্যাগের উজ্জ্বল মহিমায় ভাস্মর এ মাসটি। এ মাসে জাতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সেই সব বীর সেনানিদের উদ্দেশে যারা শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার লক্ষ্যে অবতীর্ণ হয়েছিল সর্বস্ব ত্যাগের লড়াইয়ে।
এ অঞ্চলের বঞ্চিত শোষিত মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সেদিন বন্দুকের ক্ষমতাবলে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। আলোচনার টেবিলে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ পরিত্যাগ করে তারা বন্দুকের নল আর কামানের গোলা বেছে নিলো সমাধানের উপায় হিসেবে। যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হলো আমাদের ওপর। ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষকে নির্বিচারে হত্যায় মেতে উঠল অস্ত্রের জোরে বলীয়ান পশ্চিম পাকিস্তানের তৎকালীন হঠকারি সামরিক জান্তা। শুরু হলো মুক্তির লড়াই, মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। ৯ মাসের অসম যুদ্ধ শেষে এ ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা নামক পরম পাওয়া ধরা দেয় এ দেশের মানুষের কাছে।
বিজয়ের মাস এলে পাওয়া না পাওয়ার নানা হিসাব আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। এ অঞ্চলের মানুষের চাওয়া খুব বেশি ছিল না পশ্চিম পাকিস্তানের কাছে। আমাদের যেটুকু পাওনা সেটুকুই আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হোক। বৈষম্য ও শোষন বন্ধ করা হোক। কিন্তু যে স্বপ্ন সাধ ও আকাক্সক্ষা থেকে একটি স্বাধীন দেশের জন্য সে দিন মুক্তিকামী মানুষ জীবনের মায়া তুচ্ছ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তা যেন আজ অনেকটা ম্লান।
এসএস//
Leave a Reply