Dhaka ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

ইউপি ভবনে আটকে রাখা যুবকের লাশ উদ্ধার

  • Update Time : ০৬:২১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০
  • / ১ Time View

রাজশাহী প্রতিনিধি: জেলার পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের একটি ঘরে আটক থাকা যুবকের লাশ পাওয়া গেছে। রোববার ২৯ নভেম্বর ভোরে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লাশটি ঝুলতে দেখেন দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ। তাকে হত্যার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

নিহত যুবকের নাম মোফাজ্জল হোসেন (২৬)। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন। হরিপুর ইউনিয়নের নলপুকুর গ্রামে ১২ দিন আগে বিয়ে করেন তিনি। পারিবারিকভাবেই তার বিয়ে দেওয়া হয়। তার শ্বশুরের নাম রফিকুল ইসলাম। মোফাজ্জলের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের যুগলপুর গ্রামে। তার বাবার নাম তোফাজ্জল হোসেন।

মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল। মোফাজ্জলের শ্বশুরসহ তার পরিবারের সদস্যরাও পালিয়ে গেছেন। তবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চেয়ারম্যান মুঞ্জিলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদকের কথা হয়।

তখন ইউপি চেয়ারম্যান মুঞ্জিল জানান, কয়েকদিন বিয়ে হলেও রফিকুলের মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসেন। তিনি আর সংসার করতে চাচ্ছিলেন না। দুইদিন আগে মোফাজ্জল তাকে নিতে শ্বশুরবাড়ি আসেন। শনিবার মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন মোফাজ্জলকে ইউনিয়ন পরিষদে রেখে যান। রোববার দুইপক্ষের লোকজনের মিমাংসায় বসার কথা ছিলো। এজন্য রাতে মোফাজ্জলকে ইউপি ভবনের একটি কক্ষে রাখা হয়। ভোররাতে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ জানালা দিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হয়।

তবে নিহতের চাচাত ভাই উজ্জ্বল আলীর অভিযোগ, মোফাজ্জলকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, মোফাজ্জল ও তার স্ত্রীর কলহ নিয়ে শনিবারও তারা ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলেন। তখন চেয়ারম্যান বলেছিলেন, দেনমোহরের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ভরণপোষণের আরও ১০ হাজার টাকা দিয়ে মোফাজ্জলকে নিয়ে যেতে হবে। রোববারের মধ্যে টাকা না দিলে মোফাজ্জলকে মাদকদ্রব্য দিয়ে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ইউপি ভবনে আটকে রাখা যুবকের লাশ উদ্ধার

Update Time : ০৬:২১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০

রাজশাহী প্রতিনিধি: জেলার পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের একটি ঘরে আটক থাকা যুবকের লাশ পাওয়া গেছে। রোববার ২৯ নভেম্বর ভোরে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লাশটি ঝুলতে দেখেন দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ। তাকে হত্যার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

নিহত যুবকের নাম মোফাজ্জল হোসেন (২৬)। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন। হরিপুর ইউনিয়নের নলপুকুর গ্রামে ১২ দিন আগে বিয়ে করেন তিনি। পারিবারিকভাবেই তার বিয়ে দেওয়া হয়। তার শ্বশুরের নাম রফিকুল ইসলাম। মোফাজ্জলের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের যুগলপুর গ্রামে। তার বাবার নাম তোফাজ্জল হোসেন।

মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল। মোফাজ্জলের শ্বশুরসহ তার পরিবারের সদস্যরাও পালিয়ে গেছেন। তবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চেয়ারম্যান মুঞ্জিলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদকের কথা হয়।

তখন ইউপি চেয়ারম্যান মুঞ্জিল জানান, কয়েকদিন বিয়ে হলেও রফিকুলের মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসেন। তিনি আর সংসার করতে চাচ্ছিলেন না। দুইদিন আগে মোফাজ্জল তাকে নিতে শ্বশুরবাড়ি আসেন। শনিবার মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন মোফাজ্জলকে ইউনিয়ন পরিষদে রেখে যান। রোববার দুইপক্ষের লোকজনের মিমাংসায় বসার কথা ছিলো। এজন্য রাতে মোফাজ্জলকে ইউপি ভবনের একটি কক্ষে রাখা হয়। ভোররাতে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ জানালা দিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হয়।

তবে নিহতের চাচাত ভাই উজ্জ্বল আলীর অভিযোগ, মোফাজ্জলকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, মোফাজ্জল ও তার স্ত্রীর কলহ নিয়ে শনিবারও তারা ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলেন। তখন চেয়ারম্যান বলেছিলেন, দেনমোহরের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ভরণপোষণের আরও ১০ হাজার টাকা দিয়ে মোফাজ্জলকে নিয়ে যেতে হবে। রোববারের মধ্যে টাকা না দিলে মোফাজ্জলকে মাদকদ্রব্য দিয়ে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

এসএস//