ইরানের শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ চোরাগোপ্তা হামলায় নিহত
- Update Time : ১২:২৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০
- / ০ Time View
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের অন্যতম শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে চোরাগোপ্তা হামলায় নিহত হয়েছেন ।
শুক্রবার ২৭ নভেম্বর ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা হামলা চালানো হয়, এরপর গুলি করা হয়। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হামলার শিকার হওয়ায় হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান মোহসেন ফাখরিজাদেহ। পশ্চিমা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁকে ইরানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। এ ছাড়া কূটনীতিকেরা প্রায়ই তাঁকে ‘ইরানের বোমার জনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন।
মোহসেন ফাখরিজাদেহ ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সংস্থার প্রধান ছিলেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি লক্ষ করে হামলা চালায়। এ সময় তার দেহরক্ষী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন ফাখরিজাদেহ।
ইরান নতুন করে পারমাণবিক কর্মসূচি শুরুর পর ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব উদ্বেগও প্রকাশ করছে। এরপর এমন হামলার ঘটনা ঘটল।
ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে দেশটির চারজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে থাকে ইরান।
সর্বশেষ শুক্রবার ২৭ নভেম্বরের হামলার জন্যও ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, সন্ত্রাসীরা শুক্রবার ২৭ নভেম্বর ইরানের এক বিশিষ্ট বিজ্ঞানীকে হত্যা করল। এই হত্যাকাণ্ড কাপুরুষোচিত। এতে ইসরায়েলে যুক্ত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
মোহসেন ফাখরিজাদেহর নাম বিভিন্ন সময়ই উচ্চারিত হয়েছে। ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একটি প্রেজেন্টেশনে তার নাম বিশেষভাবে উচ্চারিত হয়েছিল।
এসএস//