Dhaka ১১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

সরকারি খরচে ১০ বছরে সাড়ে পাঁচ লাখ দরিদ্র-অসহায় মানুষকে আইনি সহায়তা

  • Update Time : ১১:২৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০
  • / ১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত দশ বছরে পাঁচ লাখ বায়ান্ন হাজার ছয়শত আটষট্টি জন দরিদ্র-অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা প্রদান করেছে সরকার।

২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। একই সময়ে সংস্থাটি ৪৪ কোটি ৬২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯৬ টাকা দরিদ্র-অসহায় মানুষকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিতে সক্ষম হয়েছে।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার নিশ্চিতকল্পে তাদেরকে আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০০ সালে প্রণয়ন করে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’।

সংস্থাটি বিগত ১০ বছরে ৬৪ টি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৪ জনকে, সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২১ হাজার ১৯৪ জনকে, জাতীয় হেল্প লাইন কলসেন্টারের ১৬৪৩০নম্বরে ফোন কলের মাধ্যমে ৯৬ হাজার ৩৯৪ জনকে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেলের মাধ্যমে ১৯ হাজার ৪১৬ জনকে আইনগত সহায়তা প্রদান করেছে।

একই সময়ে সংস্থাটি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪১ টি লিগ্যাল এইড মামলা নিষ্পত্তি করেছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমেও (এডিআর) ৩৩ হাজার ৩৭৯ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার জাতীয় হেল্প লাইন কলসেন্টার (১৬৪৩০) বর্তমানে ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা হয়েছে এবং জনগণকে আইনি পরামর্শ সেবা দেয়া হচ্ছে।

আইনি সহায়তা গ্রহণ সহজীকরণের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল এ কল সেন্টার উদ্বোধনের পর থেকে অফিস চলাকালীন এ কল সেন্টার থেকে আইনি পরামর্শ সেবা দেয়া হচ্ছিল।

সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ২৪ ঘন্টাই এ সেবা চালু রাখা হয়েছে। এছাড়া “ডিজিটাল লিগ্যাল এইড” সেবা প্রদানের জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘বিডি লিগ্যাল এইড’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। এতে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে অ্যাপটির সাহায্যে ঘরে বসেই বিনা খরচে আইনি সহায়তা পাচ্ছেন অসহায় ও অসচ্ছল বিচারপ্রার্থী জনগণ।
অ্যাপটির মাধ্যমে ঘরে বসেই বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাওয়া যায়। গুগল প্লেস্টোর থেকে বিডি লিগ্যাল এইড নামের এ্যাপ/অ্যাপ্লিকেশন স্মার্টফোনে ইনস্টলের পর সহজেই বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় এটি ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপটি ওপেনের সঙ্গে সঙ্গে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাওয়ার হেল্প লাইন নম্বর ‘১৬৪৩০’ দেখা যাবে।
নম্বর মনে রাখার ঝামেলা এড়াতে এখান থেকে লিগ্যাল এইড অফিসে ফোন বা মেসেজ পাঠিয়ে আইনি সহায়তা চাওয়া ও পাওয়া যাবে। এরপর অ্যাপটির দ্বিতীয় অপশন থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাওয়া যাবে।
আদালতে মামলার সর্বশেষ আপডেট জানতে বিচারপ্রার্থীদের প্রায়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই ভোগান্তি এড়াতে লিগ্যাল এইড অফিসে দায়ের করা অভিযোগ কিংবা মামলাটির নম্বর সার্চ করে এর সর্বশেষ তথ্য জানা যাবে অ্যাপটির তৃতীয় অপশনটি থেকে।
চতুর্থ অপশনের সাহায্যে আবেদনপত্রের প্রয়োজনীয় ঘরগুলো পূরণ করে ঘরে বসেই আপনার অভিযোগ লিগ্যাল এইড অফিসে পাঠিয়ে দিতে পারবেন। এর পরবর্তী অপশনেই থাকছে জাতীয় লিগ্যাল এইড, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট, দেশের বিচার বিভাগীয় পোর্টাল এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট। এখান থেকে ক্লিক করে ওই সব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাবে।
অ্যাপটির ষষ্ঠ অপশনটি কানেক্টেড রয়েছে লিগ্যাল এইডের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে। ওই চ্যানেলে লিগ্যাল এইড সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যচিত্র রয়েছে। আর অ্যাপটির সর্বশেষ অপশনের সঙ্গে লিগ্যাল এইডের ফেইসবুক পেইজ কানেক্টেড রাখা হয়েছে। এতে অ্যাপটির মাধ্যমে যে কেউ সরাসরি লিগ্যাল এইডের ফেইসবুক পেইজে গিয়ে সেখান থেকে মেসেজ অপশনে যেতে পারবেন এবং অভিযোগ জানাতে পারবেন।
লিগ্যাল এইডে আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন জানানোর পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবেদন গ্রহণের বার্তা জানিয়ে দেয় সংস্থাটি। আবেদনকারীর আবেদন অনুমোদন পেলে সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইলে ফোনে কল কিংবা মেসেজ দিয়ে এ তথ্যও জানিয়ে দেয়া হয়।

ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সরকারি খরচে ১০ বছরে সাড়ে পাঁচ লাখ দরিদ্র-অসহায় মানুষকে আইনি সহায়তা

Update Time : ১১:২৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত দশ বছরে পাঁচ লাখ বায়ান্ন হাজার ছয়শত আটষট্টি জন দরিদ্র-অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা প্রদান করেছে সরকার।

২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। একই সময়ে সংস্থাটি ৪৪ কোটি ৬২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯৬ টাকা দরিদ্র-অসহায় মানুষকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিতে সক্ষম হয়েছে।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার নিশ্চিতকল্পে তাদেরকে আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০০ সালে প্রণয়ন করে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’।

সংস্থাটি বিগত ১০ বছরে ৬৪ টি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৪ জনকে, সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২১ হাজার ১৯৪ জনকে, জাতীয় হেল্প লাইন কলসেন্টারের ১৬৪৩০নম্বরে ফোন কলের মাধ্যমে ৯৬ হাজার ৩৯৪ জনকে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেলের মাধ্যমে ১৯ হাজার ৪১৬ জনকে আইনগত সহায়তা প্রদান করেছে।

একই সময়ে সংস্থাটি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪১ টি লিগ্যাল এইড মামলা নিষ্পত্তি করেছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমেও (এডিআর) ৩৩ হাজার ৩৭৯ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার জাতীয় হেল্প লাইন কলসেন্টার (১৬৪৩০) বর্তমানে ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা হয়েছে এবং জনগণকে আইনি পরামর্শ সেবা দেয়া হচ্ছে।

আইনি সহায়তা গ্রহণ সহজীকরণের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল এ কল সেন্টার উদ্বোধনের পর থেকে অফিস চলাকালীন এ কল সেন্টার থেকে আইনি পরামর্শ সেবা দেয়া হচ্ছিল।

সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ২৪ ঘন্টাই এ সেবা চালু রাখা হয়েছে। এছাড়া “ডিজিটাল লিগ্যাল এইড” সেবা প্রদানের জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘বিডি লিগ্যাল এইড’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। এতে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে অ্যাপটির সাহায্যে ঘরে বসেই বিনা খরচে আইনি সহায়তা পাচ্ছেন অসহায় ও অসচ্ছল বিচারপ্রার্থী জনগণ।
অ্যাপটির মাধ্যমে ঘরে বসেই বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাওয়া যায়। গুগল প্লেস্টোর থেকে বিডি লিগ্যাল এইড নামের এ্যাপ/অ্যাপ্লিকেশন স্মার্টফোনে ইনস্টলের পর সহজেই বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় এটি ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপটি ওপেনের সঙ্গে সঙ্গে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাওয়ার হেল্প লাইন নম্বর ‘১৬৪৩০’ দেখা যাবে।
নম্বর মনে রাখার ঝামেলা এড়াতে এখান থেকে লিগ্যাল এইড অফিসে ফোন বা মেসেজ পাঠিয়ে আইনি সহায়তা চাওয়া ও পাওয়া যাবে। এরপর অ্যাপটির দ্বিতীয় অপশন থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা লিগ্যাল এইড অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাওয়া যাবে।
আদালতে মামলার সর্বশেষ আপডেট জানতে বিচারপ্রার্থীদের প্রায়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই ভোগান্তি এড়াতে লিগ্যাল এইড অফিসে দায়ের করা অভিযোগ কিংবা মামলাটির নম্বর সার্চ করে এর সর্বশেষ তথ্য জানা যাবে অ্যাপটির তৃতীয় অপশনটি থেকে।
চতুর্থ অপশনের সাহায্যে আবেদনপত্রের প্রয়োজনীয় ঘরগুলো পূরণ করে ঘরে বসেই আপনার অভিযোগ লিগ্যাল এইড অফিসে পাঠিয়ে দিতে পারবেন। এর পরবর্তী অপশনেই থাকছে জাতীয় লিগ্যাল এইড, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট, দেশের বিচার বিভাগীয় পোর্টাল এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট। এখান থেকে ক্লিক করে ওই সব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাবে।
অ্যাপটির ষষ্ঠ অপশনটি কানেক্টেড রয়েছে লিগ্যাল এইডের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে। ওই চ্যানেলে লিগ্যাল এইড সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যচিত্র রয়েছে। আর অ্যাপটির সর্বশেষ অপশনের সঙ্গে লিগ্যাল এইডের ফেইসবুক পেইজ কানেক্টেড রাখা হয়েছে। এতে অ্যাপটির মাধ্যমে যে কেউ সরাসরি লিগ্যাল এইডের ফেইসবুক পেইজে গিয়ে সেখান থেকে মেসেজ অপশনে যেতে পারবেন এবং অভিযোগ জানাতে পারবেন।
লিগ্যাল এইডে আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন জানানোর পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবেদন গ্রহণের বার্তা জানিয়ে দেয় সংস্থাটি। আবেদনকারীর আবেদন অনুমোদন পেলে সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইলে ফোনে কল কিংবা মেসেজ দিয়ে এ তথ্যও জানিয়ে দেয়া হয়।

ডিএ/এসএস//