Dhaka ১১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

৯ কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার : গ্রেফতার ২

  • Update Time : ১২:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৮ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৯ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এই বিষ বেচাকেনা ও পাচারের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুধবার ২৫ নভেম্বর রাতে পাচারকারী চক্রের ‘মূল হোতা’ মামুন তালুকদার (৫১) ও তাঁর সহযোগী মামুনকে (৩৩) আটক করে সিআইডির একটি দল। এ সময় দুটি বড় লকার ও ছয়টি কাচের কৌটায় সংরক্ষিত সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়।

সিআইডি বলেছে, বাংলাদেশে সাপের বিষ বেচাকেনার কোনো বৈধতা নেই। মূলত সাপের বিষ পাচারের জন্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল পাচারকারীরা।

বৃহস্পতিবার ২৬ নভেম্বর রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) শেখ মো. রেজাউল হায়দার। তিনি বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিআইডি ঢাকা মেট্রোর একটি টিম গাজীপুরের বাসন থানা এলাকা থেকে সাপের বিষ বেচাকেনা ও পাচারকারী একটি চক্রের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করে।

পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি জানতে পারে, এ রকম আরও কয়েকটি বড় ধরনের পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে সাপের বিষ পাচারকারী চক্রের মূল হোতা মামুন তালুকদার ও তাঁর সহযোগী মামুনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সাপের বিষ পাচার হয়। এটার বৈশ্বিক মার্কেট রয়েছে, তবে বাংলাদেশে বিক্রির কোনো বৈধতা নেই। তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকে এ সাপের বিষ কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশে এসেছে। দু-তিন হাত ঘুরে হয়তো এই চক্রের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হতো। সাপের বিষ ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।

তবে বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালে এটি ব্যবহারের বৈধতা নেই। যে কারণে এটি বাংলাদেশে ব্যবহারের সুযোগও নেই। সিআইডি এখনো নিশ্চিত নয় যে এটা ঠিক কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। এটা এলসির মাধ্যমে আনা হয়নি। জব্দ করা বিশ্বের কনটেইনারগুলোতে লেখা দেখা গেছে ‘মেড ইন ফ্রান্স’।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

৯ কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার : গ্রেফতার ২

Update Time : ১২:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৯ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এই বিষ বেচাকেনা ও পাচারের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুধবার ২৫ নভেম্বর রাতে পাচারকারী চক্রের ‘মূল হোতা’ মামুন তালুকদার (৫১) ও তাঁর সহযোগী মামুনকে (৩৩) আটক করে সিআইডির একটি দল। এ সময় দুটি বড় লকার ও ছয়টি কাচের কৌটায় সংরক্ষিত সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়।

সিআইডি বলেছে, বাংলাদেশে সাপের বিষ বেচাকেনার কোনো বৈধতা নেই। মূলত সাপের বিষ পাচারের জন্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল পাচারকারীরা।

বৃহস্পতিবার ২৬ নভেম্বর রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) শেখ মো. রেজাউল হায়দার। তিনি বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিআইডি ঢাকা মেট্রোর একটি টিম গাজীপুরের বাসন থানা এলাকা থেকে সাপের বিষ বেচাকেনা ও পাচারকারী একটি চক্রের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করে।

পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি জানতে পারে, এ রকম আরও কয়েকটি বড় ধরনের পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে সাপের বিষ পাচারকারী চক্রের মূল হোতা মামুন তালুকদার ও তাঁর সহযোগী মামুনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সাপের বিষ পাচার হয়। এটার বৈশ্বিক মার্কেট রয়েছে, তবে বাংলাদেশে বিক্রির কোনো বৈধতা নেই। তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকে এ সাপের বিষ কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশে এসেছে। দু-তিন হাত ঘুরে হয়তো এই চক্রের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হতো। সাপের বিষ ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।

তবে বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালে এটি ব্যবহারের বৈধতা নেই। যে কারণে এটি বাংলাদেশে ব্যবহারের সুযোগও নেই। সিআইডি এখনো নিশ্চিত নয় যে এটা ঠিক কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। এটা এলসির মাধ্যমে আনা হয়নি। জব্দ করা বিশ্বের কনটেইনারগুলোতে লেখা দেখা গেছে ‘মেড ইন ফ্রান্স’।

এসএস//