সারাদেশ ডেস্ক : মহাকাশে যাচ্ছে বাংলাদেশের ধনে বীজ। ভেষজ দ্রব্য বা ধনে বীজ মহাকাশে যাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম।
আগামী ২ ডিসেম্বর ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেস এক্সের ফ্যালকন ৯ দ্বি-পর্যায়ের রকেটে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন বা আইএসএস-এ যাবে এই বীজ।
বর্তমানে এই ধনে বীজগুলো নাসায় সংরক্ষিত আছে। স্থানীয় সময় বুধবার ২৫ নভেম্বর এক ইমেইলে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-এমআইটির স্পেস সিষ্টেম ল্যাবরেটরি ও কানেকশন সায়েন্সের প্রধান প্রকৌশলী মিজানুল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুধুমাত্র বাংলাদেশেরই ধনে বীজ মহাকাশে যাচ্ছে না। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, নিউ জিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ধনে বীজ পাঠানো হচ্ছে মহাকাশে। এই বীজগুলো আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন জাপানের কিবো মডিউলে ছয় মাস সংরক্ষণ করা হবে। তারপরে গবেষণা এবং শিক্ষার উদ্দেশ্যে আবার নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
গত ১৬ নভেম্বর রাতে নাসার কমান্ডার মাইক হপকিনস, ভিক্টর গ্লোভার, জাপানের সোচি নোগুচি এবং শ্যানন ওয়াকার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছেছেন। জাপানের নভোচারী সোচি নোগুচি এই বীজগুলোর ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আর এই ধনে বীজ সেখানে গবেষণায় ব্যবহার হবে। বাংলাদেশ থেকে এই ধনের বীজ গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় জাপান হয়ে স্পেস কার্গো বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছায়।
মিজানুল চৌধুরী জানান,২০২১ সালের জুন মাসে এই ধনের বীজ পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। তারপর জুলাই মাসে বাংলাদেশের বীজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে। এরপর বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানীরা এই ধনের বীজের ওপর পরবর্তী পরীক্ষা করবেন। পরে পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনকে তারা জানাবেন। আমি মনে করি এটি কেবল শুরু। আমাদের সদিচ্ছা এবং সহযোগিতা থাকলে এই ধনের বীজই একদিন বাংলাদেশের জন্য মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শিক্ষার্থী এবং তরুণ গবেষক দের জন্য মহাকাশ জীববিজ্ঞান সম্পর্কে শেখার একটি সুযোগ সরবরাহ করা। আর এই গবেষণা করা হচ্ছে মূলত চাঁদ এবং মঙ্গল-এর জন্য এবং এর সঙ্গে আমাদের পৃথিবীর মানুষের কল্যাণের জন্য।
এসএস//
Leave a Reply