Dhaka ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

অপরাধীর কোন দলীয় পরিচয় নয় অপরাধী হিসেবেই দেখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ০৭:০৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৯ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরাধী কোন দলের সেটা বিবেচনা করা যাবে না। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখতে হবে।

বৃহস্পতিবার ২৬ নভেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১১৬, ১১৭ এবং ১১৮তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, কিশোর গ্যাং তৈরি, মাদক, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির মতো কিছু সমস্যার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কারও পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে বরং অপরাধীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।’

সরকারি কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশটাকে উন্নত করতে হলে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো উপযুক্ত কর্মচারী আমরা গড়ে তুলতে চাই, যেন মানুষ তার সেবাটা পায়। সেটাই আপনারা দেবেন। এটাই আপনাদের কাজ।’

১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতার দেওয়া ভাষণের একটি অংশ উদ্ধৃত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন- ‘আপনি চাকরি করেন আপনার মাইনে দেয় গরিব কৃষক, আপনার মাইনে দেয় ওই গরীব শ্রমিক, আপনার সংসার চলে ওই টাকায়, আমি গাড়িতে চড়ি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন। ইজ্জত করে কথা বলুন। ওরাই মালিক’। অর্থাৎ কোন মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না বা তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না। মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দিতে হবে।’

নিজের শৈশবের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “আমরা ছোটবেলা থেকে এটা শিখেছি। আমাদের বাড়ির ড্রাইভারকেও ড্রাইভার সাহেব বলতে হত, আপনি বলতে হত। আমাদের বাড়ির কাজের লোক কখনও চাকর-বাকর বলে বা হুকুম দিতে পারতাম না। এটা নিষিদ্ধ ছিল। আমার বাবা-মা আমাদেরকে দিতে দেননি, আমরা দেইনি। আমরা তাদেরকে বলতে গেলে.. কিছু চাইলে বলতে হবে এটা কি একটু দিতে পারবে? এখনও তাই করি। সেটাই আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, আমরা সেটাই করি।”

সবাই যেন ন্যায়বিচার পায় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার পাশাপাশি জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নত করতে কাজ করারও নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।

অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি প্রান্তে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

অপরাধীর কোন দলীয় পরিচয় নয় অপরাধী হিসেবেই দেখতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৭:০৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরাধী কোন দলের সেটা বিবেচনা করা যাবে না। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখতে হবে।

বৃহস্পতিবার ২৬ নভেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১১৬, ১১৭ এবং ১১৮তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, কিশোর গ্যাং তৈরি, মাদক, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির মতো কিছু সমস্যার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কারও পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে বরং অপরাধীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।’

সরকারি কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশটাকে উন্নত করতে হলে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো উপযুক্ত কর্মচারী আমরা গড়ে তুলতে চাই, যেন মানুষ তার সেবাটা পায়। সেটাই আপনারা দেবেন। এটাই আপনাদের কাজ।’

১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতার দেওয়া ভাষণের একটি অংশ উদ্ধৃত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন- ‘আপনি চাকরি করেন আপনার মাইনে দেয় গরিব কৃষক, আপনার মাইনে দেয় ওই গরীব শ্রমিক, আপনার সংসার চলে ওই টাকায়, আমি গাড়িতে চড়ি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন। ইজ্জত করে কথা বলুন। ওরাই মালিক’। অর্থাৎ কোন মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবেন না বা তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন না। মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান দিতে হবে।’

নিজের শৈশবের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “আমরা ছোটবেলা থেকে এটা শিখেছি। আমাদের বাড়ির ড্রাইভারকেও ড্রাইভার সাহেব বলতে হত, আপনি বলতে হত। আমাদের বাড়ির কাজের লোক কখনও চাকর-বাকর বলে বা হুকুম দিতে পারতাম না। এটা নিষিদ্ধ ছিল। আমার বাবা-মা আমাদেরকে দিতে দেননি, আমরা দেইনি। আমরা তাদেরকে বলতে গেলে.. কিছু চাইলে বলতে হবে এটা কি একটু দিতে পারবে? এখনও তাই করি। সেটাই আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, আমরা সেটাই করি।”

সবাই যেন ন্যায়বিচার পায় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার পাশাপাশি জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নত করতে কাজ করারও নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।

অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি প্রান্তে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএস//