Dhaka ০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

রাতের যে ইবাদতে ক্ষমা পায় মুমিন

  • Update Time : ০৬:২৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০
  • / ১ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ রাতে জেগে আল্লাহর কাছে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। আর যদি ওই ব্যক্তি ওজু করে এবং নামাজ আদায় করে তবে সে নামাজও কবুল করা হয়।’ (বুখারি, মিশকাত)

আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে রাতের ইবাদতের বিকল্প নেই। সৃষ্টি জগতের সব প্রাণীকূল যখন ঘুমিয়ে পড়ে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা তখন তার নৈকট্য লাভের উপায় খুঁজে। কখন মাওলাকে একান্ত আপন মনে ডাকার সুযোগ পাবে। মুমিন মুসলমানের সেই সময়টি হচ্ছে গভীর রাত। যে সময়ে সবাই ঘুমালেও আল্লাহর আশেক বান্দারা ঘুমায় না।

বান্দা যখন গভীর রাতে আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেয় এবং প্রশাংসা করে, তখন আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়; একান্ত আপন করে নেয়। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা গভীর রাতে এভাবে আল্লাহর গুণগান গায়-
لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ – سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ للهِ، وَلَا إلَهَ إلّا اللهُ، وَاللهُ أكْبَر – وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِالله
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার; ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর জন্যই সকল রাজত্ব ও তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা এবং তিনিই সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। মহা পবিত্র আল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন ক্ষমতা নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত।

এ প্রশংসা ও একত্ববাদের ঘোষণার পর বান্দা যখনই বলবে-
رَبِّى اغْفِرْلِىْ
‘রাব্বিগফিরলি’
অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন।

তখনই মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাত দান করেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাতের ইবাদত ও দোয়া করার মাধ্যমে তাঁর একান্ত নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রাতের যে ইবাদতে ক্ষমা পায় মুমিন

Update Time : ০৬:২৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ রাতে জেগে আল্লাহর কাছে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। আর যদি ওই ব্যক্তি ওজু করে এবং নামাজ আদায় করে তবে সে নামাজও কবুল করা হয়।’ (বুখারি, মিশকাত)

আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে রাতের ইবাদতের বিকল্প নেই। সৃষ্টি জগতের সব প্রাণীকূল যখন ঘুমিয়ে পড়ে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা তখন তার নৈকট্য লাভের উপায় খুঁজে। কখন মাওলাকে একান্ত আপন মনে ডাকার সুযোগ পাবে। মুমিন মুসলমানের সেই সময়টি হচ্ছে গভীর রাত। যে সময়ে সবাই ঘুমালেও আল্লাহর আশেক বান্দারা ঘুমায় না।

বান্দা যখন গভীর রাতে আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেয় এবং প্রশাংসা করে, তখন আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়; একান্ত আপন করে নেয়। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা গভীর রাতে এভাবে আল্লাহর গুণগান গায়-
لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ – سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ للهِ، وَلَا إلَهَ إلّا اللهُ، وَاللهُ أكْبَر – وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِالله
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার; ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর জন্যই সকল রাজত্ব ও তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা এবং তিনিই সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। মহা পবিত্র আল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন ক্ষমতা নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত।

এ প্রশংসা ও একত্ববাদের ঘোষণার পর বান্দা যখনই বলবে-
رَبِّى اغْفِرْلِىْ
‘রাব্বিগফিরলি’
অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন।

তখনই মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাত দান করেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাতের ইবাদত ও দোয়া করার মাধ্যমে তাঁর একান্ত নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এসএস//