Dhaka ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট

জমজ নবজাতকের মৃত্যু: তিন হাসপাতালের ব্যাখ্যা, শুনানিতে ৪ এমিকাস কিউরি

  • Update Time : ১২:৩৪:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০
  • / ৫ Time View

আদালত প্রতিবেদক: তিন হাসপাতাল ঘুরে জমজ নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় জারি করা রুলে আইন ও চিকিৎসা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত নেবেন হাইকোর্ট।

এজন্য সুপ্রিমকোর্টের তিন আইনজীবী এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে এমিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তিন হাসপাতালের ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

এমিকাস কিউরিরা হলেন-আইনজীবী জেড আই খান পান্না, আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও আইনজীবী শাহদীন মালিক এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন জ্যেষ্ঠ শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এর আগে আদালতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) , ঢাকা শিশু হাসপাতাল এবং মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের পক্ষে ব্যাখ্যা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট এর পক্ষে আইনজীবী আব্দুল খালেক, শিশু হাসপাতালের পরিচালক এবং উপ পরিচালককের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক এবং বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের উপ পরিচালকের পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম এসব প্রতিবেদন জমা দেন।
এর আগে এই ঘটনায় ২ নভেম্বর তিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুর পর জমজ নবজাতকের মরদেহ তাদের বাবা সুপ্রিমকোর্টের এমএলএসএস মো. আবুল কালাম আজাদ উচ্চ আদালত চত্বরে নিয়ে আসেন।
বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবহেলায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়।

আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সুপ্রিমকোর্টের এমএলএসএস মো. আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সায়েরা খাতুন অসুস্থবোধ করলে হাসপাতালে নেয়ার পথে সিএনিজির মধ্যে জমজ বাচ্চা প্রসব করেন।

এসময় তারা প্রসূতিকে মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করে। এই হাসপাতালে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই বলে জানায়। তারা নবজাতকদের শ্যামলীর ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিতে বলে। পরে দুই নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। শিশু হাসপাতাল বলে, তাদের আইসিইউ খালি নাই। নরমাল বেডে ভর্তি করতে হবে। এ জন্য দিনে প্রতি বাচ্চার জন্য ৫ হাজার করে টাকা লাগবে। এসময় আবুল কালাম আজাদ হাইকোর্টের এক বিচারপতির সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করেন। বিচারপতি তার নবজাতকদের বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে আসতে বলেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে আসেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জানান, পরিচালক মিটিংয়ে আছেন। পরে জানান, পরিচালক বাসায় চলে গিয়েছেন। এরপর পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা একজন ডাক্তারকে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে নবজাতকদের দেখান। তখন ডাক্তার বলেন, জমজ নবজাতক আর বেঁচে নেই।

তারপর আবুল কালাম আজাদ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মরদেহ আদালত চত্বরে নিয়ে আসেন। এরপর আদালত আদেশ দেন বলেন জানান আমিন উদ্দিন মানিক।

ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জমজ নবজাতকের মৃত্যু: তিন হাসপাতালের ব্যাখ্যা, শুনানিতে ৪ এমিকাস কিউরি

Update Time : ১২:৩৪:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০

আদালত প্রতিবেদক: তিন হাসপাতাল ঘুরে জমজ নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় জারি করা রুলে আইন ও চিকিৎসা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত নেবেন হাইকোর্ট।

এজন্য সুপ্রিমকোর্টের তিন আইনজীবী এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে এমিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তিন হাসপাতালের ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

এমিকাস কিউরিরা হলেন-আইনজীবী জেড আই খান পান্না, আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও আইনজীবী শাহদীন মালিক এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন জ্যেষ্ঠ শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এর আগে আদালতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) , ঢাকা শিশু হাসপাতাল এবং মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের পক্ষে ব্যাখ্যা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, মুগদার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট এর পক্ষে আইনজীবী আব্দুল খালেক, শিশু হাসপাতালের পরিচালক এবং উপ পরিচালককের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক এবং বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের উপ পরিচালকের পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম এসব প্রতিবেদন জমা দেন।
এর আগে এই ঘটনায় ২ নভেম্বর তিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুর পর জমজ নবজাতকের মরদেহ তাদের বাবা সুপ্রিমকোর্টের এমএলএসএস মো. আবুল কালাম আজাদ উচ্চ আদালত চত্বরে নিয়ে আসেন।
বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবহেলায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়।

আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সুপ্রিমকোর্টের এমএলএসএস মো. আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সায়েরা খাতুন অসুস্থবোধ করলে হাসপাতালে নেয়ার পথে সিএনিজির মধ্যে জমজ বাচ্চা প্রসব করেন।

এসময় তারা প্রসূতিকে মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করে। এই হাসপাতালে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই বলে জানায়। তারা নবজাতকদের শ্যামলীর ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিতে বলে। পরে দুই নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। শিশু হাসপাতাল বলে, তাদের আইসিইউ খালি নাই। নরমাল বেডে ভর্তি করতে হবে। এ জন্য দিনে প্রতি বাচ্চার জন্য ৫ হাজার করে টাকা লাগবে। এসময় আবুল কালাম আজাদ হাইকোর্টের এক বিচারপতির সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করেন। বিচারপতি তার নবজাতকদের বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে আসতে বলেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে আসেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জানান, পরিচালক মিটিংয়ে আছেন। পরে জানান, পরিচালক বাসায় চলে গিয়েছেন। এরপর পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা একজন ডাক্তারকে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে নবজাতকদের দেখান। তখন ডাক্তার বলেন, জমজ নবজাতক আর বেঁচে নেই।

তারপর আবুল কালাম আজাদ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মরদেহ আদালত চত্বরে নিয়ে আসেন। এরপর আদালত আদেশ দেন বলেন জানান আমিন উদ্দিন মানিক।

ডিএ/এসএস//