Dhaka ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

শীতে শুষ্কতা প্রতিরোধে ঘরোয়া উপায়

  • Update Time : ০১:০৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০
  • / ১ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : প্রকৃতিতে শীতের হিমেল হাওয়া বইছে । শীতের ঠান্ডা বাতাসে ত্বক হয়ে উঠে শুষ্ক ও অস্বস্তিকর। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে এসময় হাত-পায় ও ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ হবে। এর ফলে ত্বক ফাটবে না ও সুরক্ষিত থাকবে।

শীতকালে হাত-পায়ে ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধে কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় দেয়া হলো।

১.ঘরে তৈরি ক্রিমের ব্যবহার: ১ আউন্স মৌ-মোম, ১/৩ কাপ ভার্জিন অলিভ অয়েল, ২ টেবিল চামচ পানি বা গোলাপজল ও ৫-১০ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে ঘরে ক্রিম তৈরি করে হাত ও পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিম ত্বককে কোমল করবে এটা নিশ্চিত। মৌ-মোমকে (বিসওয়াক্স) গলিয়ে নিন। ভার্জিন অলিভ অয়েলকে একটি সসপ্যানে অল্প গরম করে গলিত বিসওয়াক্সে ঢেলে দিন। তারপর পানি বা গোলাপজলকে গরম করে ফোঁটায় ফোঁটায় তেল-মোমের মিশ্রণে ঢেলে নাড়তে থাকুন। চুলা বন্ধ করে মিশ্রণটি ঠান্ডা ও ঘন না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এরপর ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণকে ক্রিমের কৌটায় ভরে ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন। এটাকে তিন মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

২. দইয়ের মাস্ক: ক্রিম/অয়েন্টমেন্টের বিকল্প হিসেবে অথবা দিনের অন্যসময় শুষ্ক পা ও হাতে ফুল-ফ্যাট দইয়ের প্রলেপ দিতে পারেন। দইয়ের ল্যাকটিক এসিড প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের মৃতকোষ অপসারণ করে। অন্যদিকে দইয়ের ফ্যাট আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করে। এই মাস্কের কার্যকারিতা বাড়াতে দইয়ে এক চা-চামচ মধু মেশাতে পারেন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের মাস্ক ত্বককে খুবই আর্দ্র করে।

৩. মোজা পরে ঘুমানো: ফাটা পায়ের প্রতিকারে মোজা পরে ঘুমাতে পারেন। ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, প্রথমে কুসুম গরম পানিতে পা দুটিকে দশ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। এরপর সিরেভের মতো ঘন ক্রিম অথবা ভ্যাসলিনের মতো পেট্রোলিয়াম জেলি পায়ের পাতায় লাগিয়ে মোজা পরে নিন। এসব ক্রিম বা অয়েন্টমেন্টের আর্দ্রকারক উপাদান সারারাত ধরে ত্বকে প্রবেশ করে পায়ের পাতাকে নরম করবে ও ত্বকের ফাটা নিরাময় হবে।

৪. ভিটামিন বি৩ সমৃদ্ধ প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবহার: ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়াচিনামাইড নামেও পরিচিত ভিটামিন বি৩ ত্বককে প্রশান্তি দিতে পারে ও উজ্জ্বল করতে পারে। এছাড়া এটি ত্বকের বেষ্টনিকে শক্তিশালী করে। ত্বকের বেষ্টনির কার্যক্রম যত উন্নত হবে, তত বেশি ত্বককে আর্দ্র রাখতে পারবে। তাই হাত-পায়ে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ও ত্বককে কোমল রাখতে ভিটামিন বি৩ সমৃদ্ধ প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করুন।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শীতে শুষ্কতা প্রতিরোধে ঘরোয়া উপায়

Update Time : ০১:০৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : প্রকৃতিতে শীতের হিমেল হাওয়া বইছে । শীতের ঠান্ডা বাতাসে ত্বক হয়ে উঠে শুষ্ক ও অস্বস্তিকর। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে এসময় হাত-পায় ও ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ হবে। এর ফলে ত্বক ফাটবে না ও সুরক্ষিত থাকবে।

শীতকালে হাত-পায়ে ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধে কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় দেয়া হলো।

১.ঘরে তৈরি ক্রিমের ব্যবহার: ১ আউন্স মৌ-মোম, ১/৩ কাপ ভার্জিন অলিভ অয়েল, ২ টেবিল চামচ পানি বা গোলাপজল ও ৫-১০ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে ঘরে ক্রিম তৈরি করে হাত ও পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিম ত্বককে কোমল করবে এটা নিশ্চিত। মৌ-মোমকে (বিসওয়াক্স) গলিয়ে নিন। ভার্জিন অলিভ অয়েলকে একটি সসপ্যানে অল্প গরম করে গলিত বিসওয়াক্সে ঢেলে দিন। তারপর পানি বা গোলাপজলকে গরম করে ফোঁটায় ফোঁটায় তেল-মোমের মিশ্রণে ঢেলে নাড়তে থাকুন। চুলা বন্ধ করে মিশ্রণটি ঠান্ডা ও ঘন না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এরপর ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণকে ক্রিমের কৌটায় ভরে ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন। এটাকে তিন মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

২. দইয়ের মাস্ক: ক্রিম/অয়েন্টমেন্টের বিকল্প হিসেবে অথবা দিনের অন্যসময় শুষ্ক পা ও হাতে ফুল-ফ্যাট দইয়ের প্রলেপ দিতে পারেন। দইয়ের ল্যাকটিক এসিড প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের মৃতকোষ অপসারণ করে। অন্যদিকে দইয়ের ফ্যাট আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করে। এই মাস্কের কার্যকারিতা বাড়াতে দইয়ে এক চা-চামচ মধু মেশাতে পারেন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের মাস্ক ত্বককে খুবই আর্দ্র করে।

৩. মোজা পরে ঘুমানো: ফাটা পায়ের প্রতিকারে মোজা পরে ঘুমাতে পারেন। ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, প্রথমে কুসুম গরম পানিতে পা দুটিকে দশ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। এরপর সিরেভের মতো ঘন ক্রিম অথবা ভ্যাসলিনের মতো পেট্রোলিয়াম জেলি পায়ের পাতায় লাগিয়ে মোজা পরে নিন। এসব ক্রিম বা অয়েন্টমেন্টের আর্দ্রকারক উপাদান সারারাত ধরে ত্বকে প্রবেশ করে পায়ের পাতাকে নরম করবে ও ত্বকের ফাটা নিরাময় হবে।

৪. ভিটামিন বি৩ সমৃদ্ধ প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবহার: ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়াচিনামাইড নামেও পরিচিত ভিটামিন বি৩ ত্বককে প্রশান্তি দিতে পারে ও উজ্জ্বল করতে পারে। এছাড়া এটি ত্বকের বেষ্টনিকে শক্তিশালী করে। ত্বকের বেষ্টনির কার্যক্রম যত উন্নত হবে, তত বেশি ত্বককে আর্দ্র রাখতে পারবে। তাই হাত-পায়ে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ও ত্বককে কোমল রাখতে ভিটামিন বি৩ সমৃদ্ধ প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করুন।

এসএস//