Dhaka ০৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন খোকাপূত্র ইশরাক

  • Update Time : ০৩:১১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০
  • / ১ Time View

আদালত প্রতিবেদক : সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার (নন-সাবমিশন) মামলায় বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকার পুত্র প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন খালাস পেয়েছেন।

সোমবার ২৩ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেন নিজ ও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের সম্পদের বিবরণী কমিশনে দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কনস্টেবল মো. তালেব কমিশনের ওই আদেশ জারি করতে তাদের বাস ভবনে যান। কিন্তু ইশরাক হোসেন সেখানে উপস্থিত না থাকায় উপস্থিত চারজনের (সাক্ষী) সামনে বাস ভবনের নীচ তলায় প্রবেশ পথের বাম পাশে দেয়ালে স্কচটেপ দিয়ে ঝুলিয়ে ওই আদেশ জারি করা হয়। কমিশনের দেয়া সাত কার্য দিবসের মধ্যে ইশরাক হোসেনকে সম্পদের হিসাব নির্ধারিত ফরমে দাখিল করেননি।

২০১০ সালের ৩০ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় ইশরাকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

২০১৮ সালের ৫ মে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে চার্জশিট আমলে নেয়ার তারিখ ধার্য ছিল। ওই দিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ চার্জশিট আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। পরে ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ইশরাকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

মামলাটিতে গত ১৯ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত আট সাক্ষীর মধ্যে ছয় জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ২৭ অক্টোবর ইশরাক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। এর আগে ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। গত ১৫ জানুয়ারি ইশরাকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ১১ নভেম্বর মামলাটিতে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করেন আদালত। গত ২৭ অক্টোবর ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় সাফাই সাক্ষী হয়। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। আজ খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত।

এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন খোকাপূত্র ইশরাক

Update Time : ০৩:১১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০

আদালত প্রতিবেদক : সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার (নন-সাবমিশন) মামলায় বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকার পুত্র প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন খালাস পেয়েছেন।

সোমবার ২৩ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেন নিজ ও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের সম্পদের বিবরণী কমিশনে দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কনস্টেবল মো. তালেব কমিশনের ওই আদেশ জারি করতে তাদের বাস ভবনে যান। কিন্তু ইশরাক হোসেন সেখানে উপস্থিত না থাকায় উপস্থিত চারজনের (সাক্ষী) সামনে বাস ভবনের নীচ তলায় প্রবেশ পথের বাম পাশে দেয়ালে স্কচটেপ দিয়ে ঝুলিয়ে ওই আদেশ জারি করা হয়। কমিশনের দেয়া সাত কার্য দিবসের মধ্যে ইশরাক হোসেনকে সম্পদের হিসাব নির্ধারিত ফরমে দাখিল করেননি।

২০১০ সালের ৩০ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় ইশরাকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

২০১৮ সালের ৫ মে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে চার্জশিট আমলে নেয়ার তারিখ ধার্য ছিল। ওই দিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ চার্জশিট আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। পরে ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ইশরাকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

মামলাটিতে গত ১৯ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত আট সাক্ষীর মধ্যে ছয় জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ২৭ অক্টোবর ইশরাক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। এর আগে ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। গত ১৫ জানুয়ারি ইশরাকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ১১ নভেম্বর মামলাটিতে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করেন আদালত। গত ২৭ অক্টোবর ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় সাফাই সাক্ষী হয়। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। আজ খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন আদালত।

এসএস//