সারাদেশ ডেস্ক : প্রকৃতিতে এখন হেমন্তের বাতাস বইছে। কিন্তু উত্তরের লালমনির হাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আসংঙ্কা রয়েছে। দিনে মেঘলুপ্ত সূর্যের খরতাপ আর রাতে পড়ছে হালকা থেকে ঘন কুয়াশা। হঠাৎ চলে আসা এই ঠান্ডার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৬ ঘরে নেমেছে। রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা লালমনিরহাটে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন দিন তাপমাত্রা আরো কমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে শীতের দাপট বাড়ায় বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ এবং খেটে খাওয়া মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লঘু চাপের প্রভাবে হালকা বৃষ্টি কেটে আজ রোববার থেকে রোদেলা আবহাওয়ার দেখা মিলবে। তবে শুস্ক আবহাওয়ায় রাতের তাপমাত্রা কমে শীতের অনুভূতি বাড়ার সঙ্গে মধ্যরাত থেকে কুয়াশারও দেখা মিলবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নভেম্বর মাসের শেষদিকে আবহাওয়ায় ঠান্ডা ভাব বিরাজ করে। উত্তরের হাওয়া না বইলেও ঝিরঝির বৃষ্টি শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। হেমন্তে সন্ধ্যা-রাত-ভোরে কুয়াশা থাকা বা হালকা বৃষ্টি অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঝিরঝির বৃষ্টির প্রবণতা কমে এলেও আগামী তিন দিন রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে।
ডিসেম্বরের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও আভাস রয়েছে।
এসএস//
Leave a Reply