সারাদেশ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য মতে বিভিন্ন দেশের ‘আন্তর্জাতিক ডলার’ বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
শীর্ষে রয়েছে কাতার আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৩।
তালিকাটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত মাসিক ম্যাগাজিন ‘গ্লোবাল ফাইন্যান্স’।
বাংলাদেশের অবস্থান ১৯১টি দেশের মধ্যে ১৪৩তম অবস্থানে। জিডিপি-পিপিপি ৫ হাজার ২৮ ডলার। ভারত ও পাকিস্তানের পেছনে অবস্থান করছে দেশটি। ১২৪তম অবস্থানে আছে ভারত (৮৩৭৮ ডলার) এবং পাকিস্তান ১৩৮তম অবস্থানে (৫৮৭২ ডলার)।
শীর্ষে কাতার ১. কাতার :
বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশ। দেশটির আন্তর্জাতিক ডলারের পরিমাণ এক লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ ডলার। ২০ বছর ধরেই তারা শীর্ষ ধনী দেশের অবস্থান ধরে রেখেছে। দেশটির অধিবাসী মাত্র ২৮ লাখ। ২০১৪ সালের পর থেকে কাতারের অধিবাসীর মাথাপিছু আয় প্রতিবছর কমছে ১৫ হাজার ডলার।
এরপর ১০ থেকে ২ পর্যন্ত থাকা দেশগুলোর তথ্য তুলে ধরা হলো।
১০. সুইজারল্যান্ড
বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের রয়েছে ৬৭ হাজার ৬০০ আন্তর্জাতিক ডলার। ওই দেশে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৯ হাজার ৪২৮ জনই মিলিওনেয়ার।
৯. কুয়েত
বিশ্বের মোট তেলের ৬ শতাংশই কুয়েতের। বর্তমানে দেশটির আন্তর্জাতিক ডলারের পরিমাণ ৬৭ হাজার ৯০০ ডলার। কুয়েতের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপির ৪০ শতাংশ আসে তেল থেকে। তাদের রফতানির ৯০ শতাংশই তেল।
৮. সংযুক্ত আরব আমিরাত
করোনার কারণে এবার দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপো করতে পারছে না, এটা একটা বড় ধাক্কা। এই এক্সপোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আড়াই কোটি মানুষ অংশ নেন। দেশটির বর্তমান আন্তর্জাতিক ডলারের পরিমাণ ৭০ হাজার ৪০০ ডলার। এরমধ্যে বেশির ভাগ আয় আসে তেল বিক্রি করে। এছাড়া বাণিজ্য, নির্মাণ ও পর্যটন থেকেও দেশটির আয় রয়েছে।
৭. নরওয়ে
নরওয়ের বর্তমান আন্তর্জাতিক ডলারের পরিমাণ ৭৯ হাজার ৬০০ ডলার। ১৯৬০ সালে এখানে তেলের খনি আবিষ্কারের পর যত দিন পর্যন্ত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছিল, তত দিন দেশটির সমৃদ্ধি কেবলই বেড়েছে। আয়ের বৈষম্যের দিক থেকে নরওয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
৬. ব্রুনেই দারুস সালাম
তেলসহ বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে ব্রুনাইয়ে। তাদের আন্তর্জাতিক ডলারের পরিমাণ ৮৫ হাজার ডলার। দেশটিতে আয়ের বৈষম্য ও পুষ্টিহীনতাও প্রকট। সাড়ে চার লাখ অধিবাসীর এই দেশে ৪০ শতাংশের বেশি মানুষের আয় বছরে এক হাজার ডলারেরও কম।
৫. আয়ারল্যান্ড
দেশটির আন্তর্জাতিক ডলারের পরিমাণ ৮৭ হাজার ডলার। করোনার আগে ব্রেক্সিট, বাণিজ্যযুদ্ধ, উদ্বাস্তুসহ নানা সমস্যায় যখন ইউরোপ ছিল জর্জরিত, তখনো আয়ারল্যান্ডের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ শতাংশ, যেখানে ইউরোপের প্রবৃদ্ধি ছিল ১ দশমিক ২ শতাংশ।
৪. সিঙ্গাপুর
এশিয়ার অন্যতম করের স্বর্গরাজ্য বলা হয় সিঙ্গাপুরকে। দেশটির আন্তর্জাতিক ডলারের পরিমাণ এক লাখ পাঁচ হাজার ৭০০ ডলার। ১৯৬৫ সালে স্বাধীন হওয়ার সময় দেশটির তেমন কিছুই ছিল না। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম, স্মার্ট নীতি ও সঠিক নেতৃত্বের গুণে সিঙ্গাপুর এখন অন্যতম ধনী দেশ।
৩. লুক্সেমবার্গ
লুক্সেমবার্গের আন্তর্জাতিক ডলারের পরিমাণ এক লাখ ১২ হাজার ডলার। এটি ইউরোপের আরেক ট্যাক্স হ্যাভেন। সর্বোচ্চমানের জীবন-যাপনের দেশ লুক্সেমবার্গ। তাদের বাজেটের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায়। ২০১৫ সালে প্রথম দেশটির মাথাপিছু আয় এক লাখ ডলার অতিক্রম করে। এমনকি করোনা মহামারিতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের আয় খুব একটা কমবে না।
২. ম্যাকাও
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীনের প্রশাসনিক অঞ্চল ম্যাকাও। তাদের আন্তর্জাতিক ডলারের পরিমাণ এক লাখ ১৪ হাজার ৩৬২ ডলার। মাত্র ছয় লাখ অধিবাসীর এই অঞ্চলে ৪০টির বেশি ক্যাসিনো রয়েছে। করোনার কারণে ক্যাসিনো বন্ধ ছিল, গত জুলাই থেকে আবার খুলে দেয়া হয়েছে।
সবচেয়ে গরিব দেশ :
সবচেয়ে গরিব দেশের তালিকায় রয়েছে বুরুন্ডি (জিডিপি-পিপিপি ৭২৭ ডলার), সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (৮২৩ ডলার), কঙ্গো (৮৪৯ ডলার), ইরিত্রিয়া (১০৬০ ডলার), নাইজার (১১০৬ ডলার), মালায়ি (১২৪০ ডলার), মোজাম্বিক (১৩০৩ ডলার), দক্ষিণ সুদান (১৬০২ ডলার) ও সিয়েরা লিওন
১৬৯০)।
এসএস //
Leave a Reply