Dhaka ১০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

যে খাবার ফ্রিজে রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়

  • Update Time : ০২:২২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৭ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : সব ধরনের খাবার ফ্রিজে রাখা যায় না,কিছু খাবারকে ফ্রিজে রাখলে মান অথবা স্বাদ নষ্ট হতে পারে।

ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয় এমন আটটি খাবারের তালিকা দেয়া হলো-

১.পাকা টমেটো ফ্রিজের ঠান্ডা তাপমাত্রায় টেক্সচার ও ফ্লেভার উভয়ই প্রভাবিত হয়। কিছু গবেষণায় পাকা টমেটো দীর্ঘসময় ফ্রিজে রেখে কক্ষ তাপমাত্রায় রাখা পাকা টমেটোর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল, যেখানে ফ্রিজে রাখা টমেটোর টেক্সচার ও ফ্লেভারে ব্যাপক অবনতি দেখা গেছে।

২.রেফ্রিজারেশন আলুর স্টার্চকে দ্রুত সুগারে পরিণত করে। ফ্রিজে রাখা আলু বেক বা ফ্রাই করা হলে এসব সুগার ক্যানসার-সৃষ্টিকারী কেমিক্যাল অ্যাক্রিলামাইড উৎপাদন করতে পারে। আলু শীতল ও অন্ধকার স্থানে রাখুন। আলু অন্ধকারে রাখলে সবুজ হবে না। সবুজ আলু মানে বিষাক্ত আলু।

৩. মিষ্টি কুমড়া ফ্রিজে রাখলে এর ভেতরটা দ্রুত খারাপ হতে থাকে। তাই মিষ্টি কুমড়া ঘরের ঠান্ডা ও অন্ধকার স্থানে রাখুন। মিষ্টি কুমড়ার শক্ত খোসা দীর্ঘসময় ধরে ভেতরটাকে সুরক্ষিত রাখবে। এই সবজিকে কক্ষ তাপমাত্রায় মাসের পর মাস সংরক্ষণ করা যায়।

৪. অনেকে কফির প্যাকেট বা কৌটা ফ্রিজে রাখেন, কিন্তু এটা কফি সংরক্ষণের সর্বোত্তম স্থান নয়। কফি ফ্রিজে রাখলে এর পাশে থাকা অন্যান্য খাবারের ফ্লেভারকে টেনে নেয়। ফলে স্বাদ চলে যায় ও গন্ধ বদলে যায়। তাই প্রকৃত ফ্লেভার ধরে রাখতে কফি কক্ষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।
কলা: কলা ফ্রিজে রাখলে গাঢ় বাদামী রঙ ধারণ করে। কাঁচা কলা কক্ষ তাপমাত্রায় রাখলে পেকে যায়, কিন্তু রেফ্রিজারেশন এই প্রক্রিয়াকে ধীর করে। এছাড়া কলা থেকে গ্যাস বের হয়ে অন্যান্য ফল পেকে যায় বলে এটাকে ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।

৫. পাউরুটি ফ্রিজে রাখলে দীর্ঘসময় ছত্রাক ধরবে না, কিন্তু এর বিনিময়ে স্বাদ হারাতে হবে। রেফ্রিজারেশনে পাউরুটি শুকিয়ে যায় ও খেতে ততটা সুস্বাদু হয় না। পাউরুটি কক্ষ তাপমাত্রায় দুই থেকে চার দিন সংরক্ষণ করা যায়। তবে ফ্রিজে সাত থেকে ১৪ দিন ভালো থাকে।

৬. পেঁয়াজ না কাটলে অথবা খোসা না ছাড়ালে ঠান্ডা, শুষ্ক, অন্ধকার ও বায়ু চলাচলের স্থানে রাখা উচিত। পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের অভাবে পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি পঁচে যায়। তাই গোটা পেঁয়াজকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন না। তবে খোসা ছাড়ানো পেঁয়াজকে ফ্রিজে রাখতে পারেন। গোটা পেঁয়াজের মতো খোসা না ছাড়ানো রসুনকেও কক্ষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত।

৭. মধু ফ্রিজে সংরক্ষণ না করে ঘরের ঠান্ডা স্থানে আবদ্ধ পাত্রে সংরক্ষণ করুন। সরাসরি সূর্যের আলো আসে এমন স্থানে রাখবেন না। মধু ফ্রিজে রাখলে খুব বেশি ঘনীভূত হয়ে যায়, যার ফলে ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ব্যবহারের সময় জটিলতা এড়াতে মধু ফ্রিজে সংরক্ষণ না করাই ভালো।

৮. অনেক সময়ে আমরা জ্যাম বা জেলিকে ফ্রিজে রাখি। তবে তা করলে এর মধ্যে থাকা প্রিজারভেটিবস দানা বেঁধে যায়। তাই তা কখনো করা উচিত নয়।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

যে খাবার ফ্রিজে রাখলে স্বাদ নষ্ট হয়

Update Time : ০২:২২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : সব ধরনের খাবার ফ্রিজে রাখা যায় না,কিছু খাবারকে ফ্রিজে রাখলে মান অথবা স্বাদ নষ্ট হতে পারে।

ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয় এমন আটটি খাবারের তালিকা দেয়া হলো-

১.পাকা টমেটো ফ্রিজের ঠান্ডা তাপমাত্রায় টেক্সচার ও ফ্লেভার উভয়ই প্রভাবিত হয়। কিছু গবেষণায় পাকা টমেটো দীর্ঘসময় ফ্রিজে রেখে কক্ষ তাপমাত্রায় রাখা পাকা টমেটোর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল, যেখানে ফ্রিজে রাখা টমেটোর টেক্সচার ও ফ্লেভারে ব্যাপক অবনতি দেখা গেছে।

২.রেফ্রিজারেশন আলুর স্টার্চকে দ্রুত সুগারে পরিণত করে। ফ্রিজে রাখা আলু বেক বা ফ্রাই করা হলে এসব সুগার ক্যানসার-সৃষ্টিকারী কেমিক্যাল অ্যাক্রিলামাইড উৎপাদন করতে পারে। আলু শীতল ও অন্ধকার স্থানে রাখুন। আলু অন্ধকারে রাখলে সবুজ হবে না। সবুজ আলু মানে বিষাক্ত আলু।

৩. মিষ্টি কুমড়া ফ্রিজে রাখলে এর ভেতরটা দ্রুত খারাপ হতে থাকে। তাই মিষ্টি কুমড়া ঘরের ঠান্ডা ও অন্ধকার স্থানে রাখুন। মিষ্টি কুমড়ার শক্ত খোসা দীর্ঘসময় ধরে ভেতরটাকে সুরক্ষিত রাখবে। এই সবজিকে কক্ষ তাপমাত্রায় মাসের পর মাস সংরক্ষণ করা যায়।

৪. অনেকে কফির প্যাকেট বা কৌটা ফ্রিজে রাখেন, কিন্তু এটা কফি সংরক্ষণের সর্বোত্তম স্থান নয়। কফি ফ্রিজে রাখলে এর পাশে থাকা অন্যান্য খাবারের ফ্লেভারকে টেনে নেয়। ফলে স্বাদ চলে যায় ও গন্ধ বদলে যায়। তাই প্রকৃত ফ্লেভার ধরে রাখতে কফি কক্ষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।
কলা: কলা ফ্রিজে রাখলে গাঢ় বাদামী রঙ ধারণ করে। কাঁচা কলা কক্ষ তাপমাত্রায় রাখলে পেকে যায়, কিন্তু রেফ্রিজারেশন এই প্রক্রিয়াকে ধীর করে। এছাড়া কলা থেকে গ্যাস বের হয়ে অন্যান্য ফল পেকে যায় বলে এটাকে ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।

৫. পাউরুটি ফ্রিজে রাখলে দীর্ঘসময় ছত্রাক ধরবে না, কিন্তু এর বিনিময়ে স্বাদ হারাতে হবে। রেফ্রিজারেশনে পাউরুটি শুকিয়ে যায় ও খেতে ততটা সুস্বাদু হয় না। পাউরুটি কক্ষ তাপমাত্রায় দুই থেকে চার দিন সংরক্ষণ করা যায়। তবে ফ্রিজে সাত থেকে ১৪ দিন ভালো থাকে।

৬. পেঁয়াজ না কাটলে অথবা খোসা না ছাড়ালে ঠান্ডা, শুষ্ক, অন্ধকার ও বায়ু চলাচলের স্থানে রাখা উচিত। পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের অভাবে পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি পঁচে যায়। তাই গোটা পেঁয়াজকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন না। তবে খোসা ছাড়ানো পেঁয়াজকে ফ্রিজে রাখতে পারেন। গোটা পেঁয়াজের মতো খোসা না ছাড়ানো রসুনকেও কক্ষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত।

৭. মধু ফ্রিজে সংরক্ষণ না করে ঘরের ঠান্ডা স্থানে আবদ্ধ পাত্রে সংরক্ষণ করুন। সরাসরি সূর্যের আলো আসে এমন স্থানে রাখবেন না। মধু ফ্রিজে রাখলে খুব বেশি ঘনীভূত হয়ে যায়, যার ফলে ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ব্যবহারের সময় জটিলতা এড়াতে মধু ফ্রিজে সংরক্ষণ না করাই ভালো।

৮. অনেক সময়ে আমরা জ্যাম বা জেলিকে ফ্রিজে রাখি। তবে তা করলে এর মধ্যে থাকা প্রিজারভেটিবস দানা বেঁধে যায়। তাই তা কখনো করা উচিত নয়।

এসএস//