সারাদেশ ডেস্ক : আগামী এপ্রিল মাসের পর অবৈধ হ্যান্ডসেটে সিম চালু হবে না। শুধুমাত্র বৈধভাবে আমদানি করা এবং দেশে বৈধভাবে উৎপাদিত সেট দিয়েই সিম চালু করা যাবে। এমনকি গত এক বছরে কেউ যদি অবৈধ হ্যান্ডসেট কিনে থাকেন তাহলে সেটিও বন্ধ হয়ে যাবে।
অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে প্রযুক্তিগত সমাধানের জন্য ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে যন্ত্রপাতি কিনছে বিটিআরসি। গত বৃহস্পতিবার যন্ত্রপাতির অর্ডারও দেওয়া হয়েছে। কাজ পেয়েছে সিনেসিস আইটি লিমিটেড। আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে তাদের চুক্তি করতে হবে। চুক্তির ১২০ দিনের মধ্যে পুরো ব্যবস্থাটি চালু করতে হবে। এতে তাদের কাজের সর্বশেষ সময় দাঁড়ায় এপ্রিল মাস। এর মধ্যেই তাদের প্রযুক্তিটি চালু করতে হবে।
জানা গেছে, বিটিআরসি ২০১২ সালে প্রথম অবৈধ মোবাইল সেট বন্ধের উদ্যোগ নেয়। তবে নানা কারণে তা এতদিন বাস্তবায়ন হয়নি। এ বছর দরপত্র আহ্বান ও একটি কোম্পানিকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে পরিকল্পনাটি বাস্তব রূপ পাচ্ছে। বিটিআরসি বলছে, নকল হ্যান্ডসেট, অবৈধভাবে আমদানি, চুরি ও রাজস্ব ক্ষতি রোধে এনইআইআর ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশে বৈধভাবে আমদানি ও উত্পাদিত সেট তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু হওয়া ফোনের আইএমইআই মিলিয়ে দেখা হবে। অবৈধ, চুরি যাওয়া ও নকল সেট চালু করা যাবে না। এর ফলে মোবাইল সেট চুরির প্রবণতাও অনেক কমে যাবে।
বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটর সূত্র জানিয়েছে, দেশের নেটওয়ার্কে এখন প্রচুর মোবাইল সেট চালু রয়েছে, যেগুলো নকল। আবার অবৈধভাবে দেশে আনা ফোনও রয়েছে। বিটিআরসির কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৯ সালের আগস্টের আগে কেনা নেটওয়ার্কে সচল থাকা সেট বন্ধ করা হবে না। তবে আগস্টের পরে কেনা অবৈধ ফোনের বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এক্ষেত্রে নিবন্ধনের একটা সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন সেটটি বৈধ কি-না : মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাইয়ের পদ্ধতি হল মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD লিখে স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে বৈধ না অবৈধ, তা জানা যাবে। মোবাইল ফোনের প্যাকেটের গায়ে আইএমইআই নম্বরটি থাকে। এর বাইরে *#০৬# ডায়াল করে আইএমইআই নম্বর জানা যায়।
এসএস//
Leave a Reply