Dhaka ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

মীর নাছিরের জামিন সংক্রান্ত বিষয় ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি

  • Update Time : ১১:১২:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০
  • / ১ Time View

আদালত প্রতিবেদক : দূনীর্তির মামলায় দন্ডিত বিএনপি নেতা এডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের জামিন আবেদন সংক্রান্ত বিষয় আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মূলতবি (ষ্ট্যান্ড ওভার) রেখে আজ আদেশ দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী,ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আনা এ মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশ গত ৮ নভেম্বর মীর নাছির বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আত্মসমর্পণের পরে মীর নাছির আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) দায়ের করেন। একইসঙ্গে জামিনও চান।

অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ২০০৭ সালের ৬ মার্চ মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাছির উদ্দিনকে আলাদা ধারায় তিন বছর ও ১০ বছরের দণ্ড দেন। একইসঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই বছরের দণ্ড দেন। এছাড়া তার ছেলে মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের দণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আলাদা দু’টি আপিল করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই দুদকের আবেদন গ্রহণ করে রায় দেন আপিল বিভাগ।

রায়ে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেছেন। একইসঙ্গে মামলাটির আপিল আবেদন পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয়া হয়। সেই অনুসারে হাইকোর্টে ওই আপিল দু’টির পুনরায় শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর রায় দেন।

দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, রায়ে হাইকোর্ট তাদের আপিল খারিজ করে দেন। তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের তিন বছরের সাজা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের অভিযোগে ১০ বছরের সাজা বহাল থাকলো। ওনার ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে সহযোগিতার (অ্যাবেটমেন্ট) জন্য তিন বছরের সাজা বহাল। অর্থদন্ডসহ বিচারিক আদালতে যেভাবে রায় দিয়েছিল সেটিই বহাল। এখন এ রায় বিশেষ জজ আদালত ঢাকা-২ যেদিন রিসিভ করবেন সেদিন থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

আদেশ অনুসারে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন গত ২৭ অক্টোবর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তাকে জামিন দেন।
উল্লেখ্য মীর নাছির বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র।

ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মীর নাছিরের জামিন সংক্রান্ত বিষয় ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি

Update Time : ১১:১২:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০

আদালত প্রতিবেদক : দূনীর্তির মামলায় দন্ডিত বিএনপি নেতা এডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের জামিন আবেদন সংক্রান্ত বিষয় আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মূলতবি (ষ্ট্যান্ড ওভার) রেখে আজ আদেশ দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী,ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আনা এ মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশ গত ৮ নভেম্বর মীর নাছির বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আত্মসমর্পণের পরে মীর নাছির আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) দায়ের করেন। একইসঙ্গে জামিনও চান।

অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ২০০৭ সালের ৬ মার্চ মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাছির উদ্দিনকে আলাদা ধারায় তিন বছর ও ১০ বছরের দণ্ড দেন। একইসঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই বছরের দণ্ড দেন। এছাড়া তার ছেলে মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের দণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আলাদা দু’টি আপিল করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই দুদকের আবেদন গ্রহণ করে রায় দেন আপিল বিভাগ।

রায়ে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেছেন। একইসঙ্গে মামলাটির আপিল আবেদন পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয়া হয়। সেই অনুসারে হাইকোর্টে ওই আপিল দু’টির পুনরায় শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর রায় দেন।

দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, রায়ে হাইকোর্ট তাদের আপিল খারিজ করে দেন। তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের তিন বছরের সাজা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের অভিযোগে ১০ বছরের সাজা বহাল থাকলো। ওনার ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে সহযোগিতার (অ্যাবেটমেন্ট) জন্য তিন বছরের সাজা বহাল। অর্থদন্ডসহ বিচারিক আদালতে যেভাবে রায় দিয়েছিল সেটিই বহাল। এখন এ রায় বিশেষ জজ আদালত ঢাকা-২ যেদিন রিসিভ করবেন সেদিন থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

আদেশ অনুসারে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন গত ২৭ অক্টোবর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তাকে জামিন দেন।
উল্লেখ্য মীর নাছির বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র।

ডিএ/এসএস//