Dhaka ১১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

অর্থ পাচার মামলায় রাশেদ চিশতীর জামিন স্থগিত

  • Update Time : ০২:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৮ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার ১২ নভেম্বর এ আদেশ দেয়।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। রাশেদুল হক চিশতীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহরিয়ার বিপ্লব।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সারাদেশ’কে বলেন, আদালত রাশেদুল হক চিশতীর জামিন প্রশ্নে নতুন করে রুল জারি করেছে এবং রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার জামিনও স্থগিত করেছেন।

ফলে বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকা অর্থ পাচার তথা মানি লন্ডারিংয়ের এ মামলায় আপাতত রাশেদ চিশতীর কারামুক্তি হচ্ছে না বলেও জানান দুদক আইনজীবী ।

এর আগে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন স্থগিত করেছিল চেম্বার আদালত। যা পরে আপিল বিভাগও বহাল রাখে।

এরপর দুদক নিয়মিত আপিল করলে হাইকোর্টে শুনানি হয় ।

রাশেদুল হক চিশতীকে গত ১৯ মে ঢাকার ভার্চুয়াল বিচারিক আদালত জামিন দিয়েছিল। এ জামিন বিষয়ে উচ্চ আদালতে জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।

২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর ফারমার্স ব্যাংকের ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় ব্যাংকটির নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীসহ (বাবুল চিশতী), মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ফারমার্স ব্যাংকের চাকরিচ্যুত এসভিপি জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও চাকরিচ্যুত ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক। ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল এ মামলাটি রুজু করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ব্যাংকিং নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় স্ত্রী, সন্তান ও নিজের নামে এবং নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ২৫টি হিসাব খোলেন। পরে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের সহায়তায় গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা ওই ২৫টি হিসাবে স্থানান্তর করেন। এসব টাকা নিজেদের হিসাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের পাশাপাশি নিজেদের নামে কেনা শেয়ারের দাম পরিশোধ করেছেন। এজাহারে বলা হয়, লেনদেনের একটি বড় অংশই হয়েছে গুলশান শাখা থেকে। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বখশীগঞ্জ জুট স্পিনার্সের চলতি হিসাবে গুলশান প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা জমা হয়। এর পুরোটাই নগদে তুলে নেয়া হয়। বাকি ২১ কোটি টাকা বিভিন্ন হিসাব থেকে লেনদেন হয়।

মামলার পরপরই চিশতীসহ চারজনকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে দুদক। অন্য তিনজন হলেন চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান।

ডিএ/এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

অর্থ পাচার মামলায় রাশেদ চিশতীর জামিন স্থগিত

Update Time : ০২:৪৩:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার ১২ নভেম্বর এ আদেশ দেয়।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। রাশেদুল হক চিশতীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহরিয়ার বিপ্লব।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সারাদেশ’কে বলেন, আদালত রাশেদুল হক চিশতীর জামিন প্রশ্নে নতুন করে রুল জারি করেছে এবং রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার জামিনও স্থগিত করেছেন।

ফলে বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে থাকা অর্থ পাচার তথা মানি লন্ডারিংয়ের এ মামলায় আপাতত রাশেদ চিশতীর কারামুক্তি হচ্ছে না বলেও জানান দুদক আইনজীবী ।

এর আগে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন স্থগিত করেছিল চেম্বার আদালত। যা পরে আপিল বিভাগও বহাল রাখে।

এরপর দুদক নিয়মিত আপিল করলে হাইকোর্টে শুনানি হয় ।

রাশেদুল হক চিশতীকে গত ১৯ মে ঢাকার ভার্চুয়াল বিচারিক আদালত জামিন দিয়েছিল। এ জামিন বিষয়ে উচ্চ আদালতে জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।

২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর ফারমার্স ব্যাংকের ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় ব্যাংকটির নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীসহ (বাবুল চিশতী), মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ফারমার্স ব্যাংকের চাকরিচ্যুত এসভিপি জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও চাকরিচ্যুত ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক। ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল এ মামলাটি রুজু করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ব্যাংকিং নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় স্ত্রী, সন্তান ও নিজের নামে এবং নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ২৫টি হিসাব খোলেন। পরে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের সহায়তায় গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা ওই ২৫টি হিসাবে স্থানান্তর করেন। এসব টাকা নিজেদের হিসাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের পাশাপাশি নিজেদের নামে কেনা শেয়ারের দাম পরিশোধ করেছেন। এজাহারে বলা হয়, লেনদেনের একটি বড় অংশই হয়েছে গুলশান শাখা থেকে। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বখশীগঞ্জ জুট স্পিনার্সের চলতি হিসাবে গুলশান প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা জমা হয়। এর পুরোটাই নগদে তুলে নেয়া হয়। বাকি ২১ কোটি টাকা বিভিন্ন হিসাব থেকে লেনদেন হয়।

মামলার পরপরই চিশতীসহ চারজনকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে দুদক। অন্য তিনজন হলেন চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান।

ডিএ/এসএস//