সারাদেশ ডেস্ক : স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের গাইড লাইন ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আসন্ন ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ের এক মাস আগে শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোস্টেলে অবস্থান করতে পারবেন তবে অন্য কোনো শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করতে পারবেন না।
সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপিতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে ৩৬টি সরকারি ও ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে৷ গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু ভিন্নতা রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের ত্বাত্তিক পাঠদানের সাথে প্রতিক্ষেত্রে ব্যবহারিক শিক্ষার আবশ্যিকতা রয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষায় এমবিবিএস/বিডিএস শিক্ষার্থীদের বছরে মে ও নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি ও আগস্ট এ দু’টি টার্মে প্রফেশনাল পরীক্ষা হয়ে থাকে। একজন ছাত্রকে চিকিৎসক হওয়ার পূর্বে চারটি প্রফেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়৷
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হওয়ার প্রেক্ষিতে ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সেশনজট মুক্ত রাখতে পরীক্ষা নেয়া ছাড়া বিকল্প নেই৷ চিকিৎসা শিক্ষা ভিন্নধর্মী হওয়ায় বিদ্যমান বিধিতে পরীক্ষা ব্যতিত অন্য কোনোভাবে একজন শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ারও সুযোগ নেই৷
সকল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ ও বিএমডিসির প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একাধিক সভার মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় ৷ এতে সকলের সম্মতিক্রমে আগামী ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ হতে সকল ব্যাচের প্রফেশনাল পরীক্ষাসমূহ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের গাইড লাইন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এসএস//
Leave a Reply