Dhaka ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

এসআই আকবর কানাইঘাট সীমান্তে গ্রেফতার

  • Update Time : ০৩:১৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
  • / ১ Time View

সিলেট্ প্রতিনিধি : সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এক মাস আগে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার ৯ নভেম্বর দুপুরে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে খাসিয়াদের সহযোগিতায় আকবরকে গ্রেফতার করা হয় বলে সিলেট জেলা পুলিশ জানায় । পুলিশের পক্ষ থেকে বিকাল ৫টায় সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

হেফাজতে নিহত রায়হান আহমদ (৩৩) সিলেট মহানগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। গত ১১ অক্টোবর ভোরে রায়হানের মৃত্যুর পর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরের কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে বিকালে পরিবারের বক্তব্য পাওয়ার পর ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। নিহতের পরিবার দাবি করে, সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে। সেদিন রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের বিরুদ্ধে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

পরদিন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সিলেট মহানগর পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যু এবং নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পায় ওই তদন্ত কমিটি। কমিটি জানতে পারে, সেদিন ভোর ৩টার দিকে অটোরিকশায় করে রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নেয়া হয়। সেখানে ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বেই তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রায়হানকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকাল ৭টার দিকে মারা যান তিনি।

এদিকে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু এবং নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা মেলার পর গত ১৩ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পায় পিবিআই। পরের দিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব আহমেদ ও মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে লাশ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
রায়হানকে হেফাজতে নিয়ে পিটিয়ে মারার ঘটনায় সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে সাধারণ মানুষ। এ ঘটনা জড়িতদের বিষয়ে সরকারও কঠোর অবস্থান নেয়।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

এসআই আকবর কানাইঘাট সীমান্তে গ্রেফতার

Update Time : ০৩:১৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০

সিলেট্ প্রতিনিধি : সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এক মাস আগে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার ৯ নভেম্বর দুপুরে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে খাসিয়াদের সহযোগিতায় আকবরকে গ্রেফতার করা হয় বলে সিলেট জেলা পুলিশ জানায় । পুলিশের পক্ষ থেকে বিকাল ৫টায় সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

হেফাজতে নিহত রায়হান আহমদ (৩৩) সিলেট মহানগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। গত ১১ অক্টোবর ভোরে রায়হানের মৃত্যুর পর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরের কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে বিকালে পরিবারের বক্তব্য পাওয়ার পর ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। নিহতের পরিবার দাবি করে, সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে। সেদিন রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের বিরুদ্ধে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

পরদিন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সিলেট মহানগর পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যু এবং নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পায় ওই তদন্ত কমিটি। কমিটি জানতে পারে, সেদিন ভোর ৩টার দিকে অটোরিকশায় করে রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নেয়া হয়। সেখানে ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বেই তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রায়হানকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকাল ৭টার দিকে মারা যান তিনি।

এদিকে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু এবং নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা মেলার পর গত ১৩ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পায় পিবিআই। পরের দিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব আহমেদ ও মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে লাশ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
রায়হানকে হেফাজতে নিয়ে পিটিয়ে মারার ঘটনায় সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করে সাধারণ মানুষ। এ ঘটনা জড়িতদের বিষয়ে সরকারও কঠোর অবস্থান নেয়।

এসএস//