সারাদেশ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বাস্তবিক অর্থে ভোট জালিয়াতির কোনো প্রমাণ নেই।’
ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা এলেন উইনট্রব মার্কিন জনগণকে জানাতে চান, চলতি বছর নির্বাচনে কোনো ধরনের ভোট জালিয়াতির প্রমাণ তাদের কাছে নেই।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রচার শিবির থেকে একের পর এক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হয়। যদিও এর স্বপক্ষে কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ হাজির করা হচ্ছে না। এতে রিপাবলিকান দলের শীর্ষ নেতারা অস্বস্তিতে আছেন। তাঁদের দৃষ্টিতে এ ধরনের অভিযোগ মার্কিন গণতন্ত্রের অন্যতম একটি ভিতের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা এলেন শনিবার ৭ নভেম্বর সকালে সিএনএনকে বলেন, ‘দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কর্মকর্তা এবং নির্বাচনী কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, তাতে খুবই নগণ্য অভিযোগ এসেছে। বাস্তবসম্মত ও অকাট্য প্রমাণ আছে এমন অভিযোগ খুবই কম। ভোট জালিয়াতির কোনো প্রমাণ নেই। অবৈধ ভোট নেয়া হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। মুখে কিছু বলে দিলেই তো হলো না।’ এলেন আরও বলেন, দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ, নিরপেক্ষ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা দেখছেন নির্বাচন কীভাবে হয়েছে। তারা কেউ নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি। গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফল এখনো পাওয়া বাকি। এর মধ্যে পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা ও নেভাদায় ডোনাল্ড ট্রাম্প পিছিয়ে পড়েছেন। এর আগে মিশিগান ও উইসকনসিনে এগিয়ে থাকলেও পরে পিছিয়ে পড়েন তিনি। অঙ্গরাজ্য দুটি হাতছাড়া হয় তাঁর। এ অবস্থায় ট্রাম্প একের পর এক ভোট জালিয়াতি করছেন। এমনকি তিনি মার্কিন বিচার বিভাগের দিকেও আঙুল তুলেছেন। বলছেন, অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের সুপ্রিমকোর্ট মার্কিন সংবিধান লঙ্ঘন করছে।
রিপাবলিকান দলের কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, দলটির শীর্ষ নেতারা চান ট্রাম্প ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা যেন তাঁদের তোলা অভিযোগ আরও স্পষ্ট করে বিষয়টি নিয়ে আদালতে যান। এর পর আদালত তার নিজের নিয়মে বিষয়টির মীমাংসা করুক। এ সম্পর্কিত মামলা যদি আদালতে মুখ থুবড়ে পড়ে, তবে ট্রাম্পের হাতে আর কোনো বিকল্প থাকবে না।
এরই মধ্যে ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট প্রয়োজন হলেও ২৯০ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন। ইলেকটোরাল ভোট আরও বাড়বে জো বাইডেনের।
এসএস//
Leave a Reply