1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত - সারাদেশ.নেট
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার হাইকোর্টে ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ খালাস পেলেন যুবদল নেতা আইনজীবী নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত হলেন এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

  • Update Time : শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : তাহাজ্জুদের নামাজ রাসুলুল্লাহ (স.)- এর জন্য ফরজ ছিল। অন্য মুসলমানদের জন্য নয়। এর সময় মধ্যরাত হতে ফজর পর্যন্ত! এর কোনো ধারাবাহিক নিয়ম নেই। হজরত (স.) বিতরের নামাজসহ কখনো ৭, কখনো ৯, কখনো ১১ এবং কখনো ১৩ রাকাত পড়েছেন। যাবতীয় সুন্নত ও নফল নামাজের মধ্যে তা সর্বোত্তম নামাজ।

বিভিন্ন আলেমেদীনগণ তাহাজ্জুত নামাজের ফজিলত বিষয়ে,সুন্নাহ বা হাদিসের রেফাসেন্সে উল্লেখ করেছেন যা নিন্মে তুলে ধরা হলো।

১। হাদিস: হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) রাত্রে ১৩ রাকাত নামাজ পড়তেন, যার অন্তর্গত বিতের এবং ফজরের দুই রাকাত সুন্নতও ছিল। (বোখারি ও মুসলিম)।

২। হাদিস: হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) এশার নামাজ হতে অবসর গ্রহণ করার পর ফজর পর্যন্ত ১১ রাকাত নামাজ পড়তেন, প্রত্যেক দুই রাকাতের পরই সালাম ফিরাতেন এবং এক রাকাত দ্বারা তাকে বেজোড় করতেন। এই নামাজের এক-একটি সিজদাহ তিনি তোমাদের কেউ ৫০টি আয়াত পড়ার পরিমাণ দীর্ঘ করতেন। যখন মুয়াজ্জিন ফজরের আজান শেষ করত এবং সোবেহ সাদিক পরিষ্কার হয়ে যেত; তখন তিনি দাঁড়াতেন এবং সংক্ষিপ্ত দুই রাকাত নামাজ পড়তেন। অতঃপর তিনি ডান পাশে ভর দিয়ে বিশ্রাম করতে থাকতেন যতক্ষণ না ইকামত বলার জন্য মুয়াজ্জিন এসে পৌঁছত, তখন তিনি ফরজ পড়ার জন্য বের হতেন। (বোখারি ও মুসলিম)

৩। হাদিস: হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) যখন রাত্রে নামাজ পড়তে উঠতেন দুই রাকাত সংক্ষিপ্ত নামাজ দ্বারা তা আরম্ভ করতেন। (বোখারি ও মুসলিম)

৪। হাদিস: হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ (স.)-এর বয়স অধিক হলো এবং শরীর ভারী হলো তখন তিনি তাঁর অধিকাংশ (নফল) নামাজ বসে পড়তেন। (বোখারি, মুসলিম)

৫। হাদিস: হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতের নামাজে দাঁড়িয়ে ১০টি আয়াত পাঠ করেছে তাকে অলসদের মধ্যে গণ্য করা হবে না এবং যে ব্যক্তি ১০০ আয়াত পাঠ করেছে তাকে বিনয়ীদের মধ্যে গণ্য করা হবে। আর যে ব্যক্তি ১০০০ আয়াত পাঠ করেছে তাকে অতিরিক্ত কার্যকারীদের মধ্যে গণ্য করা হবে। (আবু দাউদ)

৬। হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত (স.) রাতের নামাজের কিরাত কখনো উচ্চস্বরে এবং কখনো নিম্নস্বরে পাঠ করতেন। (আবু দাউদ)

৭। হাদিস: তাবেয়ি ইলা বিন মালাক (র.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত সালমাকে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তোমরা তাঁর নামাজ দিয়ে কী করবে? তিনি যতক্ষণ নামাজ পড়তেন, ততক্ষণ ঘুমাতেন, আবার নামাজ পড়তেন। এভাবে সোবেহ সাদেক পর্যন্ত। (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ি)

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *