স্বাস্থ্য ডেস্ক : এমন কিছু রোগ আছে, যাতে হলুদ এড়িয়ে চলাটাই ভাল। দেখে নেয়া যাক যেসব রোগের ক্ষেত্রে হলুদ খাওয়া নিষেধ।
ডায়াবেটিসের ওষুধ যারা খান- হলুদের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই রক্তের সুগার কমিয়ে দেয়ার প্রবণতা রয়েছে। এটি টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজ করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এবং সুগারের মাত্রা কমাতে খাদ্য তালিকায় হলুদ রাখাকে সাদুবাদ জানানো যায়।
তবে যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খায় তাদের জন্য হলুদ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। এতে রক্তের সুগার অনেক কমে যেতে পারে। এমনকি হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
গর্ভবতী নারী- গর্ভাবস্থায় ও স্তন দানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে হলুদ খাওয়া নিরাপদ। তবে যদি গর্ভাবস্থায় হলুদের সাপ্লিমেন্ট বেশি পারিমাণ খাওয়া হয় এটি ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এতে অনেক সময় গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া স্তন দানকারী মায়েদের ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞরা হলুদ কম খেতে বলেন।
পিত্তথলিতে সমস্যা- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের এক গবেষণায় বলা হয়, হলুদ পিত্তথলির সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই আপনার যদি পিত্তথলি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হলুদ খাওয়াই ভালো।
কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা- কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা থাকলে হলুদের সাপ্লিমেন্ট না খাওয়াই ভালো। কারণ হলুদ রাসায়নিক অক্সালেটের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পাকস্থলীতে এসিডের সমস্যা- হলুদ পাকস্থলীর এসিড বাড়িয়ে দেয়। ওষুধের প্রভাব কমিয়ে দেয়। যদি এই সমস্যা থাকে তবে হলুদ খাওয়া বাদ দেয়া ভালো। আর একেবারে না পারলেও কিছুটা হলেও কমিয়ে দেন।
এসএস//
Leave a Reply