Dhaka ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে নামছে জেলেরা

  • Update Time : ০১:০০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০
  • / ২১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে ইলিশ শিকারে নামছে জেলেরা। রাত ১২টার বাজার সাথে সাথে ট্রলার নিয়ে তারা সাগর ও নদীতে ইলিশ শিকারে নামবেন।

জেলেরা আজ বুধবার রাত থেকে ইলিশ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। সমুদ্রগামী জেলেদের সব প্রস্তুতি আগেভাগেই সম্পন্ন করা ছিলো।

সাগর ও নদীতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মা ইলিশ রক্ষায় সাগরসহ বরগুনার উপকূলের নদ-নদীতে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন। এ সময় সব ধরনের জাল ফেলা, মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলার ৩৭ হাজার জেলে সরকারি ভিজিএফ সহায়তা পেয়েছেন। এ নিষেধাজ্ঞার সময় বরগুনা উপকূলের জেলেরা জাল মেরামত, ট্রলার মেরামতসহ সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করে রেখেছিলেন যাতে বিনা বিলম্বে তারা নিজ পেশায় ব্যস্ত হয়ে উঠতে পারেন।

প্রজনন মৌসুমের ১৪ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই ১ নভেম্বর থেকে দেশের সব নদ-নদীতে আট মাস জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আট মাস জাটকা ধরা, বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন স¤পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। বড় আকারের ইলিশ ও অন্যান্য মাছ এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকছে।

ইলিশের মৌসুম মূলত অক্টোবরেই শেষ। এ মৌসুমে নিষেধাজ্ঞার আগে বড় সাইজের প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছিলো। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরও প্রতিবছরই প্রচুর ইলিশ জালে ধরা পড়ে। জেলেরা আশা করছেন এবারও সে রকমই ঘটবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং রাজনৈতিক-সামাজিকভাবে সব ধরনের সহযোগিতার কারণে এবারের নিষেধাজ্ঞা আগের তুলনায় অনেক বেশি সফল হয়েছে জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদফতরের উপপরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার। তিনি আশা করছেন, ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে নামছে জেলেরা

Update Time : ০১:০০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে ইলিশ শিকারে নামছে জেলেরা। রাত ১২টার বাজার সাথে সাথে ট্রলার নিয়ে তারা সাগর ও নদীতে ইলিশ শিকারে নামবেন।

জেলেরা আজ বুধবার রাত থেকে ইলিশ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। সমুদ্রগামী জেলেদের সব প্রস্তুতি আগেভাগেই সম্পন্ন করা ছিলো।

সাগর ও নদীতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মা ইলিশ রক্ষায় সাগরসহ বরগুনার উপকূলের নদ-নদীতে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন। এ সময় সব ধরনের জাল ফেলা, মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলার ৩৭ হাজার জেলে সরকারি ভিজিএফ সহায়তা পেয়েছেন। এ নিষেধাজ্ঞার সময় বরগুনা উপকূলের জেলেরা জাল মেরামত, ট্রলার মেরামতসহ সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করে রেখেছিলেন যাতে বিনা বিলম্বে তারা নিজ পেশায় ব্যস্ত হয়ে উঠতে পারেন।

প্রজনন মৌসুমের ১৪ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই ১ নভেম্বর থেকে দেশের সব নদ-নদীতে আট মাস জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আট মাস জাটকা ধরা, বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন স¤পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। বড় আকারের ইলিশ ও অন্যান্য মাছ এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকছে।

ইলিশের মৌসুম মূলত অক্টোবরেই শেষ। এ মৌসুমে নিষেধাজ্ঞার আগে বড় সাইজের প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছিলো। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরও প্রতিবছরই প্রচুর ইলিশ জালে ধরা পড়ে। জেলেরা আশা করছেন এবারও সে রকমই ঘটবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং রাজনৈতিক-সামাজিকভাবে সব ধরনের সহযোগিতার কারণে এবারের নিষেধাজ্ঞা আগের তুলনায় অনেক বেশি সফল হয়েছে জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদফতরের উপপরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার। তিনি আশা করছেন, ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।

এসএস//