সারাদেশ ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের ছয় উপজেলার ৬৫টি হিমাগারে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলু সংরক্ষণ থাকা সত্বেও বাজারে আলুর দাম কমছে না।
জেলার হিমাগারের এখনও পৌনে দুই লাখ মেট্রিক টনের বেশি আলু সংরক্ষণ রয়েছে।
আলু উত্তোলনের শুরুতে খেত থেকে আলু কিনে নেন মৌসুমি ব্যবসায়ী ও পাইকাররা। পরে সেই আলু তারা সংরক্ষণ করেন হিমাগারে। দেশে বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর পর গত এপ্রিল মাস থেকে বাজারে আলুর দাম বাড়তে থাকে।
বছরের শেষ সময়ে এসে আলুর দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। এখন বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিদরে। এ নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার আলুর দাম খুচরা পর্যায়ে ৩৫ টাকা বেঁধে দিয়েছে। তবে সেই দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না।
মুন্সীগঞ্জের স্থানীয় বাজারের এক আলু বিক্রেতা মোশারফ বলেন, সরকার থেকে বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি করলে তার লোকসান হয়ে যাবে। সপ্তাহখানেক আগে কেনা আলু তার জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলা শহরের মুক্তারপুর এলাকার এলাইড হিমাগারের ম্যানেজার জানান, প্রতিকেজি ২৩ টাকা দরে আলু বাজারজাত করতে তাগাদা দিচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু হিমাগার কর্তৃপক্ষ এ সব আলুর মালিক নয়। আবার হিমাগারে থাকা আলুর অর্ধেক বীজআলু।
জেলা প্রশাসক বলেন, হিমাগারের মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে আলুর দাম বৃদ্ধি করবেন, বা সরকাররের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএস//
Leave a Reply