নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকায় ‘রিষ্টপুষ্ট’ হয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাণীরা।
প্রতিদিন মানুষের হইচই ছাড়া নিজেদের মতো করে বেড়ে উঠছিল খাঁচায় বন্দি এসব প্রাণী ।
আজ রোববার ১ নভেম্বর থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয় চিড়িয়াখানা। দীর্ঘদিন পর চিড়িয়াখানা উন্মুক্ত হওয়ায় সেখানে সকাল থেকে মানুষের ভিড়ও সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকেই নানাভাবে বিরক্ত করায় কোনো কোনো প্রাণী কিছুটা অস্বস্তির মধ্যে সময় পার করতে দেখা গেছে।
কেননা গত প্রায় ৭ মাস যাবৎ এক ধরনের পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল এসব প্রাণী।
আজ দর্শনার্থীদের প্রবেশে কোনো ফি নেয়া হয়নি। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মানুষেরা ঘরবন্দি জীবন ভাঙতে বিনোদনের আশায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসেন। তবে শিশু কিশোরদের আগমনই তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে।
রাজধানীবাসীসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ অনেক দিন পর এসব প্রাণীকুল দেখে খুশী। শিশুরা যেন অনেক দিন পর আবারও প্রাণ খুলে দম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে।
১৮৬ একর জায়গা জুরে বিস্তৃত মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। চিড়িয়াখানায় রয়েছে মাংসাশী ৮ প্রজাতির ৪৫টি প্রাণী, ২১ প্রজাতির বৃহৎপ্রাণী (তৃণভোজী) ২৭১টি, ২১ প্রজাতির ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী ২১২টি।
রয়েছে ১০ প্রজাতি সরীসৃপ ৭২টি, ৫৬ প্রজাতির ১১৬২টি পাখি, অ্যাকুরিয়ামে রক্ষিত মৎস্য প্রজাতিসমূহ ১৩৬ প্রজাতির ২৬২৭টি প্রাণী রয়েছে। সবমিলিয়ে রয়েছে ১৩৭টি পশু-পাখির খাঁচা। নতুন করে ১১৫টি বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর প্রজনন হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, দীর্ঘদিন দর্শনার্থী না আসায় চিড়িয়াখানার প্রাণীকুল নিজেদের মতো করে বাঁচার সুযোগ পেয়েছিল। বিরক্তহীন প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেদের মতো করে দিন পার করছিল। প্রাকৃতিক পরিবেশে দ্রুত বেড়ে উঠে তারা। নিয়মিত পরিচর্যার কারণে অনেক পশুপাখি মোটাতাজা হয়ে উঠে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভেতরে প্রবেশ, মাস্ক পরা, প্রাণীদের বিরক্ত না করা, জটলা না করতে কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত মাইকিং করে ঘোষণা দিলেও ছোট-বড় অনেকে সে নির্দেশনা মানছিল না। মাস্ক ছাড়া ভেতরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে অনেককেই। অনেকে খাঁচার নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করে প্রাণীদের কাছে গিয়ে নানাভাবে বিরক্ত করতে দেখা গেছে। এতে করে অনেক প্রাণীর মধ্যে বিরক্তিভাব দেখা গেছে। অনেক প্রাণীকে খাঁচার মধ্যে দৌড়ঝাঁপ আর চিৎকার করতে দেখা গেছে।
এসএস//
Leave a Reply