পায়েল হত্যায় বাসচালকসহ ৩ জনের ফাঁসির আদেশ
- Update Time : ০৪:০৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
- / ১ Time View
আদালত প্রতিবেদক : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় বাসচালকসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ রোববার ১ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন, হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল হোসেন, চালকের সহকারী ফয়সাল হোসেন ও সুপারভাইজার মো. জনি। তাদের মধ্যে জামাল ও ফয়সাল সহোদর। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত পায়েলের বাবা গোলাম মাওলা রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, পৈশাচিক কায়দায় তার ছেলেকে হত্যা করা হয়। রায় কার্যকর দেখার অপেক্ষায়।
গত বছরের ২ এপ্রিল এই হত্যা মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়।
নিহত সাইদুর রহমান পায়েলের বাসা চট্টগ্রামের হালিশহর সিডিএ আবাসিক এলাকায়। ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান ও মহিউদ্দিনের সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন সাইদুর।
দুই দিন পর ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জের ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা-পুলিশ। এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তাঁর সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাইদুরের মামা গোলাম সরোয়ার্দী বাদী হয়ে চালক জামাল হোসেন, তাঁর সহকারী ফয়সাল হোসেন ও সুপারভাইজার জনিকে আসামি করে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গজারিয়া এলাকায় গাড়ি যানজটে পড়ায় প্রস্রাব করার কথা বলে বাস থেকে নেমেছিলেন সাইদুর। বাস চলতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে গিয়ে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে সংজ্ঞা হারান। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে তাঁকে হাসপাতালে নেয়ার বদলে দায় এড়াতে ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে বাস নিয়ে ঢাকায় চলে যান আসামিরা।
এসএস//