Dhaka ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

৩৯ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রাপ্যতা অনুসারে পদোন্নতিসহ সুবিধা দিতে রায়

  • Update Time : ০৫:২৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
  • / ০ Time View

আদালত প্রতিবেদক : প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতিবঞ্চিত ৩৯ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রাপ্যতা অনুসারে পদোন্নতিসহ আনুসাঙ্গিক সুবিধা দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

২০০১ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়া এই ৩৯ কর্মকর্তার করা আলাদা তিনটি রিটে ইতোপূর্বে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রোববার ১ নভেম্বর এ রায় দেয় আদালত।
রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সালের ‘উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/নিয়োগের নীতিমালা’ অনুযায়ী অবসরে যাওয়া এসব যুগ্ম সচিব ও উপ-সচিব প্রাপ্যতা অনুসারে পদোন্নতিসহ আনুসাঙ্গিক সুবিধা ও পদমর্যাদা পাবেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেজা-ই-রাব্বী খন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

রিটের পক্ষে আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন,রিট পিটিশনার এই ৩৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এদের নিয়োগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাদের পদোন্নতি জন্য ১৯৯৮ সালে একটি নীতিমালা করে সরকার। এরপর ১৯৯৯ সালে সরকার জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে একটি পদোন্নতির তালিকা করে। পরবর্তীতে তাদের কেউ কেউ পদোন্নতিও পান। ১৯৯৮ সালের নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি পেয়ে তাদের কেউ কেউ যুগ্ম সচিব পর্যন্ত হয়েছেন। ২০০২ সালে নতুন মানদণ্ড করে ‘বিধিমালা’ প্রণয়ন করা হয়। এর মধ্যে ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলা আপিল বিভাগ পর্যন্ত যায়। সে মামলায় রায়ে আপিল বিভাগ ২০০২ সালের বিধিমালা ‘মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে’ কার্যকর হবে না বলে আদেশ দেন। আর ২০০২ সালের বিধিমালা অনুযায়ী যাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করে কনিষ্ঠদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে, সেসব কনিষ্ঠদের পদোন্নতি পাওয়ার তারিখ থেকে বঞ্চিতরা প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতি বঞ্চিত না হলে ৩৯ মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ৩৭ জন সচিব, একজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন যুগ্ম সচিব হতেন বলে জানান তাদের আইনজীবী।

২০০২ সালের ‘উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/নিয়োগের নীতিমালা’ প্রণয়নের পর জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ১২ উপ-সচিব এবং ২৭ জন যুগ্ম সচিবকে (তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা) পদোন্নতি বঞ্চিত করে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।

পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে ২০০২ সালের ওই বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে যুগ্ম সচিব মো.সাইফুজ্জামান,মো. আমিরুল ইসলাম ও উপ-সচিব মো. খলিলুর রহমান ২০১৩ সালে আলাদা রিট আবেদন করেন। রিটে ২০০২ সালের ‘উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/ নিয়োগের বিধিমালা’ চ্যালেন্জ করা হয়। রিটে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর রুল জারি করে। সাত বছর পর আজ রায় পেল সংক্ষুব্ধরা। রুল যথাযথ (এ্যাবসিলিট) ঘোষণা করে রায় এই দেন উচ্চ আদালত।

ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

৩৯ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রাপ্যতা অনুসারে পদোন্নতিসহ সুবিধা দিতে রায়

Update Time : ০৫:২৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০

আদালত প্রতিবেদক : প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতিবঞ্চিত ৩৯ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রাপ্যতা অনুসারে পদোন্নতিসহ আনুসাঙ্গিক সুবিধা দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

২০০১ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়া এই ৩৯ কর্মকর্তার করা আলাদা তিনটি রিটে ইতোপূর্বে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রোববার ১ নভেম্বর এ রায় দেয় আদালত।
রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সালের ‘উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/নিয়োগের নীতিমালা’ অনুযায়ী অবসরে যাওয়া এসব যুগ্ম সচিব ও উপ-সচিব প্রাপ্যতা অনুসারে পদোন্নতিসহ আনুসাঙ্গিক সুবিধা ও পদমর্যাদা পাবেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেজা-ই-রাব্বী খন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

রিটের পক্ষে আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন,রিট পিটিশনার এই ৩৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এদের নিয়োগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাদের পদোন্নতি জন্য ১৯৯৮ সালে একটি নীতিমালা করে সরকার। এরপর ১৯৯৯ সালে সরকার জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে একটি পদোন্নতির তালিকা করে। পরবর্তীতে তাদের কেউ কেউ পদোন্নতিও পান। ১৯৯৮ সালের নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি পেয়ে তাদের কেউ কেউ যুগ্ম সচিব পর্যন্ত হয়েছেন। ২০০২ সালে নতুন মানদণ্ড করে ‘বিধিমালা’ প্রণয়ন করা হয়। এর মধ্যে ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলা আপিল বিভাগ পর্যন্ত যায়। সে মামলায় রায়ে আপিল বিভাগ ২০০২ সালের বিধিমালা ‘মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে’ কার্যকর হবে না বলে আদেশ দেন। আর ২০০২ সালের বিধিমালা অনুযায়ী যাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করে কনিষ্ঠদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে, সেসব কনিষ্ঠদের পদোন্নতি পাওয়ার তারিখ থেকে বঞ্চিতরা প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতি বঞ্চিত না হলে ৩৯ মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ৩৭ জন সচিব, একজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন যুগ্ম সচিব হতেন বলে জানান তাদের আইনজীবী।

২০০২ সালের ‘উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/নিয়োগের নীতিমালা’ প্রণয়নের পর জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ১২ উপ-সচিব এবং ২৭ জন যুগ্ম সচিবকে (তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা) পদোন্নতি বঞ্চিত করে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।

পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে ২০০২ সালের ওই বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে যুগ্ম সচিব মো.সাইফুজ্জামান,মো. আমিরুল ইসলাম ও উপ-সচিব মো. খলিলুর রহমান ২০১৩ সালে আলাদা রিট আবেদন করেন। রিটে ২০০২ সালের ‘উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি/ নিয়োগের বিধিমালা’ চ্যালেন্জ করা হয়। রিটে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর রুল জারি করে। সাত বছর পর আজ রায় পেল সংক্ষুব্ধরা। রুল যথাযথ (এ্যাবসিলিট) ঘোষণা করে রায় এই দেন উচ্চ আদালত।

ডিএ/এসএস//