মার্কিন নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ঠেকাতে প্রস্তুতি
- Update Time : ০৪:০৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
- / ০ Time View
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতা মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুতি নিয়েছে। ২৫ অক্টোবর ম্যানহাটনে ট্রাম্প সমর্থকদের সঙ্গে ট্রাম্পবিরোধীদের সহিংস সংঘর্ষ দেখে হতবাক হয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও নির্বাচনের পর বিভিন্ন গ্রুপের দীর্ঘস্থায়ী বিক্ষোভ সমাবেশ হবে বলে আশঙ্কা করছেন। নিউইয়র্কে ব্যবসায়ীরা দোকানের কাচ ও দরজায় কাঠ লাগিয়ে দিচ্ছেন।
কনফ্লিক্ট লোকেশন ও ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট এবং মিলিশিয়া ওয়াচের যৌথভাবে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট পেনসিলভেনিয়া, জর্জিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে সশস্ত্র সংঘাতের ঝুঁকি রয়েছে। হামলার আশঙ্কা রয়েছে ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে। টাইমস স্কয়ার সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ম্যানহাটন থেকে বেশ কিছু আবাসিক লোকজনকে নগরী ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। ৩ নভেম্বর নির্বাচনের পর পরিস্থিতি বুঝে তারা শহরে ফিরবেন। শেষতক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কিনা এবং ফলাফল ব্যাপকভাবে গৃহীত হবে কিনা এ নিয়ে ভাবছেন ভোটাররা।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্য পাল্টে দিতে পারেন দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষেরা। শেষ মুহূর্তে ভোটের জন্য দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের কাছে হাত পেতেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা দরিদ্র ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার চেষ্টা করছেন। এজন্য প্রায় ২০০ জাতীয় গ্রুপ তৈরি করেছেন তারা। মোবাইলে মেসেজ পাঠানো ছাড়াও প্লাকার্ড ও পোস্টারে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। দ্য গার্ডিয়ানের খবর, যুক্তরাষ্ট্রে দরিদ্র ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ও নিম্নআয়ের ভোটার রয়েছেন প্রায় ১৪ কোটি। প্রচারকর্মীরা বলছেন, দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষগুলোর ভোট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
এসএস//