তাবিথ-ইশরাককে নিয়ে বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীরের গণসংযোগ
- Update Time : ০৪:৪৯:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
- / ০ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনকে সাথে নিয়ে গণসংযোগ করেছেন ঢাকা-১৮ আসনে প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
রাজধানীর উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে বিএনপির দুই তরুণ মেয়র প্রার্থী নিয়ে গণসংযোগ করেন দলের প্রার্থী জাহাঙ্গীর। জনসংযোগকালে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ঢল নামে।
তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এতিমখানা, উত্তরা টেলিফোন ভবন, উত্তরা কমিউনিটি ক্লাব, উত্তরা গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে ধানের শীষে ভোট চান । সবশেষ বাংলাদেশ মেডিক্যাল সংলগ্ন এলাকায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন ঢাকা-১৮ এ বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর। তিনি তাবিথ ও ইশরাককে জনতার মেয়র উল্লেখ করে বলেন, এই দু’জন হচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্মের রূপকার। তাদের নিয়ে আমরা ভোট কেন্দ্রে পাহারায় বসাবো। আগামী ১২ নভেম্বর যদি ভোটাদের ভোট দিতে দেয়া না হয়, তাহলে সরকার পতন আন্দোলনের হুসিয়ারি দেন তিনি।
সমাবেশে তাবিথ আউয়াল বলেন, এবার ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের নেতাকর্মী ও ভোটাররা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যত কিছুই হোক আগামী ১২ নভেম্বর ধানের শীষের বিজয় নিয়েই ঘরে ফিরব।
ইশরাক হোসেন বলেন, যতই বাধা আসুক আমরা আমাদের ঐক্য বজায় রেখে আমাদের প্রচার চালিয়ে যাব। আগামী ১২ নভেম্বর ভোটকেন্দ্রে পাহারা বসিয়ে সেখান থেকে গণভোট সৃষ্টি করবো।
জাহাঙ্গীর বলেন, তাবিথ ও ইশরাক এই আসনে প্রচার শুরুর পর থেকে ধানের শীষের গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই, আগামী ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আমরা আর দুর্নীতি-দুঃশাসন-নারী নির্যাতন দেখতে চাই না। আগামী ১২ নভেম্বর প্রমাণ করতে হবে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে সমস্ত অপশাসনের অবসান ঘটাবে এই এলাকার জনগণ। তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ অনেক অপপ্রচার করছে। আমরা যেখানে কর্মসূচি দেই সেখানে তারা পাল্টা কর্মসূচি দেয়। আমাদের জনতার মেয়র তাবিথ আউয়াল আজ সকালে গণসংযোগস্থলে গিয়ে ফেরত এসেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, কোনো রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠে আছি, মাঠে থাকবো। আগামী ১২ নভেম্বর যদি ভোট দিতে দেয়া না হয়, এখান থেকেই সরকার পতন আন্দোলন শুরু হবে।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজিম উদ্দিন আলম, রফিক শিকদার, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার, কৃষকদলের খলিলুর রহমান, ভিপি ইব্রাহিম প্রমূখ।
এসএস//