লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে গুজবে উত্তেজিত জনতা যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি এম এ মনিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার ৩০ অক্টোবর এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম এবং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহারের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
বৃহস্পতিবার ২৯ অক্টোবর জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় শহিদুন্নবী জুয়েল নামের এক ব্যক্তিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে উত্তেজিত জনতা পিটিয়ে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তারা। জুয়েল রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র শালবন মিস্ত্রীপাড়ার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুরের একটি স্কুলে লাইব্রেরিয়ান ছিলেন। কিছুদিন আগে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে তাকে চাকরি হারাতে হয়। তার পরিচিতরা দাবি করছেন, জুয়েল শান্ত এবং পরহেজগার ছিলেন।
বুড়িমারী বাজার মসজিদের খাদেম বলেন, তার সঙ্গে জুয়েল হ্যান্ডসেক করে মসজিতে প্রবেশ করেন। জুয়েল নামাজ শেষে মসজিদের বই রাখার তাকগুলো খুঁজতে থাকেন। এ সময় কিছু বই সেখান থেকে পড়ে যায়। তবে, সেখানে ধর্ম অবমাননা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো কিছু ঘটেনি। পরে, স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে বাহিরে নিয়ে গেলে স্খানীয় ইউপি সদস্য জুয়েলকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বশীল অনেক লোকজন ছিলেন। বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ কিছুক্ষণের মধ্যেই সব কিছু তছনছ করে দেয়। তাদের কোনোভাবে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। তবে দুইজনের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এসএস//
Leave a Reply