Dhaka ০১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

লালমনিরহাটে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা তদন্তে কমিটি

  • Update Time : ০১:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১ Time View

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে গুজবে উত্তেজিত জনতা যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি এম এ মনিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার ৩০ অক্টোবর এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম এবং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহারের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

বৃহস্পতিবার ২৯ অক্টোবর জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় শহিদুন্নবী জুয়েল নামের এক ব্যক্তিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে উত্তেজিত জনতা পিটিয়ে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তারা। জুয়েল রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র শালবন মিস্ত্রীপাড়ার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুরের একটি স্কুলে লাইব্রেরিয়ান ছিলেন। কিছুদিন আগে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে তাকে চাকরি হারাতে হয়। তার পরিচিতরা দাবি করছেন, জুয়েল শান্ত এবং পরহেজগার ছিলেন।

বুড়িমারী বাজার মসজিদের খাদেম বলেন, তার সঙ্গে জুয়েল হ্যান্ডসেক করে মসজিতে প্রবেশ করেন। জুয়েল নামাজ শেষে মসজিদের বই রাখার তাকগুলো খুঁজতে থাকেন। এ সময় কিছু বই সেখান থেকে পড়ে যায়। তবে, সেখানে ধর্ম অবমাননা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো কিছু ঘটেনি। পরে, স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে বাহিরে নিয়ে গেলে স্খানীয় ইউপি সদস্য জুয়েলকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বশীল অনেক লোকজন ছিলেন। বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ কিছুক্ষণের মধ্যেই সব কিছু তছনছ করে দেয়। তাদের কোনোভাবে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। তবে দুইজনের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

লালমনিরহাটে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা তদন্তে কমিটি

Update Time : ০১:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে গুজবে উত্তেজিত জনতা যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টি এম এ মনিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার ৩০ অক্টোবর এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম এবং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহারের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

বৃহস্পতিবার ২৯ অক্টোবর জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় শহিদুন্নবী জুয়েল নামের এক ব্যক্তিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে উত্তেজিত জনতা পিটিয়ে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তারা। জুয়েল রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র শালবন মিস্ত্রীপাড়ার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুরের একটি স্কুলে লাইব্রেরিয়ান ছিলেন। কিছুদিন আগে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে তাকে চাকরি হারাতে হয়। তার পরিচিতরা দাবি করছেন, জুয়েল শান্ত এবং পরহেজগার ছিলেন।

বুড়িমারী বাজার মসজিদের খাদেম বলেন, তার সঙ্গে জুয়েল হ্যান্ডসেক করে মসজিতে প্রবেশ করেন। জুয়েল নামাজ শেষে মসজিদের বই রাখার তাকগুলো খুঁজতে থাকেন। এ সময় কিছু বই সেখান থেকে পড়ে যায়। তবে, সেখানে ধর্ম অবমাননা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো কিছু ঘটেনি। পরে, স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে বাহিরে নিয়ে গেলে স্খানীয় ইউপি সদস্য জুয়েলকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বশীল অনেক লোকজন ছিলেন। বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ কিছুক্ষণের মধ্যেই সব কিছু তছনছ করে দেয়। তাদের কোনোভাবে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। তবে দুইজনের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

এসএস//