সারাদেশ ডেস্ক: শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে তুরস্ক ও গ্রিসে অন্তত আটজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এ খবর প্রকাশ করে। রিখটার স্কেলে সাত মাত্রার ওই ভূমিকম্প শুক্রবার ৩০ অক্টোবর অ্যাজিয়ান সাগরে আঘাত হানে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলেছে, ভূমিকম্পের শক্তি ছিল রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার। তবে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এএফএডি) বলেছে, গ্রিনিচ সময় ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট) আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৬।
ভূমিকম্পে ইজমির প্রদেশের ইজমির শহরে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের পরপরই সড়কে হাজার হাজার মানুষ নেমে আসেন।
তুরস্ক ও গ্রিস কর্তৃপক্ষ বলেছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলও ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছে। গ্রিসের সামোস দ্বীপেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই দ্বীপে উঁচু ঢেউ আঘাত হানতে পারে জানিয়ে সতর্কতাও জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
ইজমির শহরের মেয়র তুঙ্ক সয়ের বলেছেন, এই প্রদেশে প্রায় ২০টি ভবন ধসে পড়েছে। আর ইজমির প্রদেশের গভর্নর বলেছেন, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ১৯৯৯ সালের আগস্টে ইস্তাম্বুলের দক্ষিণ-পূর্বে ইজমিত শহরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের আঘাতে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১১ সালে পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভানে ভূমিকম্পের আঘাতে পাঁচ শতাধিক মানুষ মারা যায়।
এদিকে গ্রিসের সামোস দ্বীপের বাসিন্দাদের উপকূলীয় এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে দেশটির স্কাই টিভিকে বলেছেন গ্রিসের অ্যান্টি-সিসমিক প্ল্যানিং সংস্থার প্রধান এফতিমিওস লেক্কাস। তিনি বলেন, অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি। এই দ্বীপে দুজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন বলে গ্রিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এসএস//
Leave a Reply