নিজস্ব প্রতিবেদক : ফ্রান্সে ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’কে অবমাননা করে ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন প্রকাশের বিরুদ্ধে সারাদেশে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ ৩০ অক্টোবর বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে থেকে ইসলামী দল-ঞেফাজতে ইসলাম প্রতিবাদ সমাবেশ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অন্যান্যরা বক্তৃতা করেন। মাওলানা আল্লামা মামুনুল হক বক্তব্যে বলেছেন, আজ শুধু বায়তুল মোকাররম চত্বরে নয় সারা বাংলাদেশে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া লক্ষ কোটি তৌহিদী জনতা জুম্মার পরে রাজপথে অবস্থান করছেন।
তিনি বলেন, আজকে শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা পৃথিবীর মুসলিমরা মুষ্টিবদ্ধ হাতে শ্লোগানে উত্তাল করেছে পৃথিবীর আকাশ বাতাশ। পৌনে দুইশ কোটি মুসলমান ফ্রান্সের নরপশু অসভ্য এমানুয়েল ম্যাক্রোর ইসলাম বিরোধী,মুসলিম উম্মাহ বিরোধী এই যুদ্ধকে মোকাবেলা করার জন্যে রাজ পথে নেমে এসেছে। সারা দুনয়ার পৌনে দু্ইশ কোটি মুসলমান আজ সব ভেদাবেদ ভুলে গিয়ে কাদে কাদ মিলিয়ে প্রতিবাদ করছে।
মামুনুল হক বলেন, বিশ্বের মুসলিম নেতৃবৃন্দ ফ্রান্সের অসভ্যতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোগান ফ্রান্সের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেছেন। পাকিস্তানের ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন। আমরা প্রশ্ন করতে চাই ৯০ ভাগ মুসলমান দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য কি?
তিনি বলেন, স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, আজ পৃথিবী দুই ভাগে বিভক্ত। একভাগ আল্লাহর নবীর দুশমন, আর একভাগ আল্লার পয়গাম্বরের মুহাব্বত কারী। আমরা জানতে চাই- আমার দেশের সরকার, আমার দেশের রাষ্ট্রপ্রধান কোন পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, আজকে অসভ্যতার বিরুদ্ধে মানবতার লড়াই। আজকে মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই। এই সত্য মিথ্যার লড়াইয়ে আমাদেরকে বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে। এই দেশ হজালালের পবিত্র মাটি হাজি শরীয়ত উল্লারহর পবিত্র ভূমি সুতরাং অসভ্য ম্যাক্রেলেনের কোন দূতাবাস এখানে দেখতে চাই না। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে ক্ষোভে ফোসে উঠছে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ ঘটেনি। ইনশাআল্লাহ হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে আল্লামা মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী কর্মসূচী ঘোষণা করবেন।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাওলানা মামনুল হক আরো বলেন, আমি জানি না পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে। সরকারকে বলতে চাই ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ঘোষণা করেন। ফ্রান্সের সকল পন্য বাংলাদেশে আমদানি রাষ্ট্রীয় ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে স্পষ্ট পয়গাম পৌছে দিন। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের কাযক্রম বন্ধ করে দিন। যদি আপনার করতে ব্যার্থ হন, এই উত্তাল জনতা হয়তোবা ফ্রান্সের দূতাবাসের এক একটা ইট কেড়ে নিবে।
এর পর আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী তার সভাপতির বক্তব্য বলেন, হেফাজতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর পক্ষ থেকে আগামী ২ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১ টার সময় ফ্রান্সের দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
এসএস//
Leave a Reply