স্বাস্থ্য ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই অনেকটা জোরালো হয়ে উঠেছে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপ। সেই সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ঠাণ্ডাজনিত রোগ। ডেঙ্গুর মূল মৌসুমে এর তেমন প্রকোপ দেখা না গেলেও প্রায় শেষ সময়ে এসে বেড়ে গেছে। আবার প্রতিবারই শীত মৌসুমে জেঁকে বসে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগ। নিউমোনিয়ার সমস্যা বড় হয়ে ওঠে শিশু ও বয়স্কদের জন্য। এতে মৃত্যুও ঘটে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় কি না হয় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকার পাশাপাশি এবার করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু ও ফ্লুর প্রকোপ নিয়ে এক ধরনের জটিল অবস্থার আশঙ্কা করছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কভিড ছাড়াও অন্য করোনাভাইরাসগুলো সাধারণত শীতকালে একটু বেশি দেখা যায়। ফলে এবার কভিডের সঙ্গে ওই করোনাভাইরাসের সংক্রমণও থাকার আশঙ্কা রয়েছে প্রতিবছরের মতো। এর সঙ্গে ডেঙ্গু বেড়ে গেছে কিছুদিন ধরে বৃষ্টির কারণে। এডিস মশা এই বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি থেকে জন্ম নেয়ার পরিবেশ পেয়েছে। ফলে এখন ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। এ ছাড়া শীতকালে অ্যাজমা, নিউমোনিয়ার সমস্যাও বেড়ে যায়। সাধারণত এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ইনফ্লুয়েঞ্জার মৌসুম হলেও তা দীর্ঘায়িত হতে পারে অনেক সময়।
যদিও দেশে দেশে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেকটা কমতির দিকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) বৈশ্বিক পরিস্থিতি তালিকায় তেমন চিত্রই দেয়া হয়েছে। ডাব্লিউএইচওর সর্বশেষ তালিকা অনুসারে মোট শনাক্ত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ছিল ১৮তম, দৈনিক শনাক্ত সূচকে ৪২তম, মোট মৃত্যুর সূচকে ৩১তম ও দৈনিক মৃত্যু সূচকে ৩৩তম। এক মাস আগের তুলনায় এই চার সূচকেই উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশে। তবে গত এক মাসে ইউরোপের কয়েকটি দেশে দৈনিক সংক্রমণ বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রভাব এই তালিকায় পড়েছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। তবে স্থানীয় হিসাবে গত এক মাসে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। ধীরে ধীরে কিছু কমছে, আবার বাড়ছে। শনাক্ত ও মৃত্যু এখনো একটানা নিচের দিকে নামছে না; একদিন কম তো আরেক দিন বেশি। যে পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলছে।
এসএস//
Leave a Reply