আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাত কোটিরও বেশি নাগরিক এ পর্যন্ত আগাম ভোট দিয়েছেন।

এ সংখ্যাটি ২০১৬ সালের নির্বাচনে পড়া মোট ভোটের অর্ধেকেরও বেশি বলে মঙ্গলবার ২৭ অক্টোবর ইউএস ইলেকশন প্রজেক্টের টালিতে দেখা গেছে। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট পড়ছে। ভোটের এ গতি বজায় থাকলে এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে এবার ভোট পড়ার হার সর্বোচ্চ হতে পারে।

এতে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে ভোটারদের তীব্র আগ্রহেরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

ডাকযোগে ভোট দেয়া নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা বেশি আগ্রহী হওয়ায় আগাম ভোটে তারা বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। ঐতিহ্যগতভাবে রিপাবলিকানরাও ডাকযোগে প্রচুর ভোট দিয়ে থাকেন, কিন্তু এবার এ পদ্ধতির বিষয়ে ট্রাম্পের বারবার ও ভিত্তিহীন আক্রমণের কারণে তারা এটি এড়িয়ে যাচ্ছে। এ পদ্ধতিতে ব্যাপক কারচুপি হতে পারে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের আগাম ভোট দিলেন।

বিভিন্ন তথ্যে দেখা গেছে, আগাম ব্যক্তিগত ভোটের সংখ্যায় সামগ্রিকভাবে ডেমোক্র্যাটরা মোটামুটি এক ভোটের বিপরীতে দুই ভোট অগ্রগামিতা ধরে রেখেছে; তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রিপাবলিকানরা এ ব্যবধান অনেকটা কমিয়ে এনেছে।

২০১৬ সালের নির্বাচনে ৪ কোটি ৭০ লাখ আগাম ভোট পড়েছিল, কিন্তু এবার নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালেই চলতি মাসের প্রথম দিকে ওই সংখ্যাটি পার হয়ে গেছে।

বাংলাদেশী বাংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হাসান আহমেদ সওদাগর সারাদেশ বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণেই মূলত এবার আগাম ভোটের হার বেশী। এছাড়াও ভোটের দিন হয়রানি এড়াতেও আগাম ভোট দিচ্ছেন অনেকেই।

এসএস//