Dhaka ০৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

মাধ‌্যমিকে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন ১ নভেম্বর শুরু

  • Update Time : ০৪:২৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০
  • / ১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১ নভেম্বর থেকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন‌্য প্রণীত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন শুরু হবে।

৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সিলেবাস শেষ করা হবে। শিক্ষার্থীদের এক সপ্তাহ পর পর অ্যাসাইনমেন্ট করে তা জমা দিতে হবে।
মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা নিকটতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ এবং জমা দিতে পারবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নির্ধারিত সময়ে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়বস্তু জানিয়ে দেবে।

সোমবার ২৬ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রত্যক্ষ পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে সংসদ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাঠদান এবং স্কুল পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইন পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া, শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। এরকম নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখলো তা মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এ মূল্যায়ন যেন তাদের ওপর মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি না করে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেন তাদের পাঠ অগ্রগতি ও দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে, সেজন্য সার্বিক দিক বিবেচনা করে আটটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো—

১) এনসিটিবি কর্তৃক নির্ধারিত মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য ৩০ কর্মদিবসের সিলেবাস অনুসরণ করতে হবে। এ সিলেবাস www.dshe.gov.bd ওয়েবসাইটে যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।

২) এনসিটিবি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নির্ধারিত সিলেবাস থেকে অ্যাসাইনমেন্টের (নির্ধারিত কাজ) জন্য বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছে। বিষয়বস্তু অনুযায়ী প্রণীত অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে প্রতি সপ্তাহে পাঠানো হবে।

৩) অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া ও জমা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানপ্রধান শ্রেণিভিত্তিক কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন। প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অ্যাসাইনমেন্ট দেবেন ও নেবেন।

৪) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অ্যাসাইনমেন্ট ব্যতীত মূল্যায়ন সংক্রান্ত অন্য কোনো কার্যক্রম (পরীক্ষা, হোমওয়ার্ক ইত্যাদি) গ্রহণ করতে পারবে না।

৫) অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিক চিহ্নিত করবেন এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা শিক্ষকদের মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।

৬) করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষার্থী তার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
৭) এ কার্যক্রম ১ নভেম্বর শুরু হবে।
৮) এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমন্বয় করবেন।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মাধ‌্যমিকে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন ১ নভেম্বর শুরু

Update Time : ০৪:২৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১ নভেম্বর থেকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন‌্য প্রণীত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন শুরু হবে।

৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সিলেবাস শেষ করা হবে। শিক্ষার্থীদের এক সপ্তাহ পর পর অ্যাসাইনমেন্ট করে তা জমা দিতে হবে।
মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা নিকটতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ এবং জমা দিতে পারবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নির্ধারিত সময়ে অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়বস্তু জানিয়ে দেবে।

সোমবার ২৬ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রত্যক্ষ পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে সংসদ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাঠদান এবং স্কুল পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইন পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া, শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। এরকম নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখলো তা মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এ মূল্যায়ন যেন তাদের ওপর মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি না করে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেন তাদের পাঠ অগ্রগতি ও দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে, সেজন্য সার্বিক দিক বিবেচনা করে আটটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো—

১) এনসিটিবি কর্তৃক নির্ধারিত মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য ৩০ কর্মদিবসের সিলেবাস অনুসরণ করতে হবে। এ সিলেবাস www.dshe.gov.bd ওয়েবসাইটে যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।

২) এনসিটিবি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নির্ধারিত সিলেবাস থেকে অ্যাসাইনমেন্টের (নির্ধারিত কাজ) জন্য বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছে। বিষয়বস্তু অনুযায়ী প্রণীত অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে প্রতি সপ্তাহে পাঠানো হবে।

৩) অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া ও জমা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানপ্রধান শ্রেণিভিত্তিক কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন। প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অ্যাসাইনমেন্ট দেবেন ও নেবেন।

৪) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অ্যাসাইনমেন্ট ব্যতীত মূল্যায়ন সংক্রান্ত অন্য কোনো কার্যক্রম (পরীক্ষা, হোমওয়ার্ক ইত্যাদি) গ্রহণ করতে পারবে না।

৫) অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিক চিহ্নিত করবেন এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা শিক্ষকদের মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।

৬) করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীরা নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষার্থী তার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
৭) এ কার্যক্রম ১ নভেম্বর শুরু হবে।
৮) এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমন্বয় করবেন।

এসএস//