Dhaka ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বাজারে ঊর্ধ্বমুখী আলুর দাম

  • Update Time : ০১:১৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৮ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : জয়পুরহাট আলু উৎপাদনের জেলা হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত । হিমাগারগুলোতে আলুর দাম কমলেও পাইকারি এবং খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। ফলে সরকার মূল‌্য নির্ধারণ করে দিলেও বাজারগুলোতে কমছে না আলুর দাম।

বর্তমানে জেলার বাজারগুলোতে মানভেদে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। এতো চড়া মূল‌্যে এর আগে কখনও আলু বিক্রি হয়নি এই জেলাতে।

কৃষক, ব্যবাসায়ী ও হিমগার মালিকরা এর আগে আলুতে বিপুল পরিমাণ লোকসান দিয়েছেন। বিগত বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে এবং অধিক লাভের আশায় এবার কারসাজি করে সিন্ডিকেট করেছেন আলু ব‌্যবসায়ীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা মার্কেটিং বিভাগের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, জয়পুরহাটে গেল মৌসুমে প্রায় ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। আর মৌসুমের শুরুতে ১ লাখ উনপঞ্চাশ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার মোট ১৮টি হিমাগারে কৃষক ও ব্যবসায়ী মিলে আলু সংরক্ষণ করেছিলেন প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ও বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আলু। বর্তমানে (২৪-১০-২০ তারিখ পর্যন্ত) হিমাগারগুলোতে রক্ষিত আছে আরও প্রায় ৪৪ হাজার মেট্রিক টন আলু। হিমাগারগুলোতে সংরক্ষিত এই ৪৪ হাজার মেট্রিক টন আলুর মধ্যে আবার বীজ আলু রয়েছে ২৮ হাজার মেট্রিক টন। এই পরিমাণ আলু হিমাগারে থাকার পরও আলুর বাজারে দরদাম নিয়ে চলছে অস্থিরতা। হিমগারগুলোতে পাইকারি মূল্য প্রতি কেজি ২৭ টাকা বেঁধে দিয়ে নোটিশ ঝুলানো হলেও গোপনে ৩০/৩৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা মূল্য আলুর জাত ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। এ অবস্থায় আলু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আলুর দর বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ সাধারণ ভোক্তাদের।

সরকারি নিদের্শনায় হিমাগারগুলোতে পাইকারি মূল্য কেজি প্রতি ২৭ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান সংরক্ষণকারী, ব্যবসায়ী ও হিমাগার কর্তৃপক্ষগণ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, হিমাগারগুলোতে আলু কেনা ও সংরক্ষণসহ কেজি প্রতি খরচ হয়েছে ২২ থেকে ২৪ টাকা, সেখানে সরকারি নির্দেশনায় আলু বিক্রি করা হলে সংরক্ষণকারীদের কোনো লোকসান হবে না।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাজারে ঊর্ধ্বমুখী আলুর দাম

Update Time : ০১:১৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : জয়পুরহাট আলু উৎপাদনের জেলা হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত । হিমাগারগুলোতে আলুর দাম কমলেও পাইকারি এবং খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। ফলে সরকার মূল‌্য নির্ধারণ করে দিলেও বাজারগুলোতে কমছে না আলুর দাম।

বর্তমানে জেলার বাজারগুলোতে মানভেদে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। এতো চড়া মূল‌্যে এর আগে কখনও আলু বিক্রি হয়নি এই জেলাতে।

কৃষক, ব্যবাসায়ী ও হিমগার মালিকরা এর আগে আলুতে বিপুল পরিমাণ লোকসান দিয়েছেন। বিগত বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে এবং অধিক লাভের আশায় এবার কারসাজি করে সিন্ডিকেট করেছেন আলু ব‌্যবসায়ীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা মার্কেটিং বিভাগের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, জয়পুরহাটে গেল মৌসুমে প্রায় ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। আর মৌসুমের শুরুতে ১ লাখ উনপঞ্চাশ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার মোট ১৮টি হিমাগারে কৃষক ও ব্যবসায়ী মিলে আলু সংরক্ষণ করেছিলেন প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ও বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আলু। বর্তমানে (২৪-১০-২০ তারিখ পর্যন্ত) হিমাগারগুলোতে রক্ষিত আছে আরও প্রায় ৪৪ হাজার মেট্রিক টন আলু। হিমাগারগুলোতে সংরক্ষিত এই ৪৪ হাজার মেট্রিক টন আলুর মধ্যে আবার বীজ আলু রয়েছে ২৮ হাজার মেট্রিক টন। এই পরিমাণ আলু হিমাগারে থাকার পরও আলুর বাজারে দরদাম নিয়ে চলছে অস্থিরতা। হিমগারগুলোতে পাইকারি মূল্য প্রতি কেজি ২৭ টাকা বেঁধে দিয়ে নোটিশ ঝুলানো হলেও গোপনে ৩০/৩৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা মূল্য আলুর জাত ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। এ অবস্থায় আলু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আলুর দর বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ সাধারণ ভোক্তাদের।

সরকারি নিদের্শনায় হিমাগারগুলোতে পাইকারি মূল্য কেজি প্রতি ২৭ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান সংরক্ষণকারী, ব্যবসায়ী ও হিমাগার কর্তৃপক্ষগণ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, হিমাগারগুলোতে আলু কেনা ও সংরক্ষণসহ কেজি প্রতি খরচ হয়েছে ২২ থেকে ২৪ টাকা, সেখানে সরকারি নির্দেশনায় আলু বিক্রি করা হলে সংরক্ষণকারীদের কোনো লোকসান হবে না।

এসএস//