Dhaka ০১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

বাচ্চাদের দুধ খাওয়ায় যে মাছ

  • Update Time : ১২:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০
  • / ০ Time View

সারাাদেশ ডেস্ক : স্থলচর প্রাণী মায়ের দুধে খেয়ে বেঁচে থাকে। কিন্তু মাছ পানিতে থাকা সত্যেও যে মায়ের দুধে বেঁচে থাকে, এমন চমকপ্রদ তথ্য জানালেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

সাধারণত দেখা যায়, মা মাছ ডিম দেয়, বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, খেতে-খেলতে শেখায়। শুধু তাই নয়, অন্য কোনো প্রাণী যেন বাচ্চাদের আক্রমণ না করে বা খেয়ে না ফেলে সে দিকেও খেয়াল রাখে মা মাছ। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমনও মাছ আছে যারা বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়ায়।

এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটেনিকাতে বলা হয়েছে, এলপাউট নামক একধরনের মাছ বাচ্চাদের দুধ খাওয়ায়। সেখানে বলা হয়েছে, স্থলচর প্রাণীরা তাদের বাচ্চাদেরকে জন্মের পরে দুধ খাওয়ায়। কিন্তু এই মাছেরা তাদের বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়ায় জন্মানোর আগেই। মায়ের পেটে থাকা অবস্থায়ই এই মাছের পোনা দুধ খেয়ে বড় হতে থাকে। এরপর যখন উপযুক্ত হয়ে যায় তখনই তারা জন্ম নেয়। এক কথায় বলা যায়, এই মাছের বাচ্চারা শক্তপোক্ত হয়েই জন্ম নেয়।

এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটেনিকায় আরো উল্লেখ আছে, এলপাউট মাছগুলো জেরসিডি পরিবার সদস্য। এই পরিবারে প্রায় ২৫০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। এসব মাছ দেখতে বেশ লম্বা। এরা সামুদ্রিক এবং শীতল পানির মাছ। এ কারণে এদেরকে আর্কটিক এবং অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এলপাউট মাছ ইউরোপের বিভিন্ন সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকায়ও দেখা যায়। বিশেষ করে বাল্টিক সাগরের অন্যতম সাধারণ প্রজাতির মাছ এটি। এছাড়া্ও ইংলিশ চ্যানেলের কাছে অনেক বেশি দেখা যায়। এলপাউট মাছ প্রজনন মৌসুমে একবারে ৩০ থেকে ৪০০টি পর্যন্ত পরিণত বাচ্চার জন্ম দিয়ে থাকে। যেহেতু মায়ের পেটে তারা দুধ খেয়ে থাকে তাই এরা জন্মের সময়ই বেশ লম্বা হয়। যখন পোনাগুলোর মনে হয় তারা যথেষ্টই বড়ো হয়ে গেছে তখন তারা বেরিয়ে আসে। এভাবে মায়ের পেটে ছয়মাস পর্যন্ত কাটিয়ে দেয় এলপাউটের পোনাগুলো।

বিজ্ঞানীদের মতে, অন্যান্য মাছের মতোই এলপাউট মাছের পেটে ডিম বড় হয়। কিন্তু যে বিষয়টি ব্যতিক্রম তা হলো, এই মাছের পেটের মধ্যেই জন্ম নেয় খুদে খুদে পোনাগুলো। কিন্তু মায়ের পেট থেকে বের হয়না। পেটের ভিতরে থেকেই দুধ খায় আর বড় হয়। বড় হলে পোনাগুলো পেট থেকে বের হয়ে আসে ঠিকই তবে সবসময় আবার তারা বের হয় না। তারা মায়ের পেট থেকে বের হবার জন্য শীতকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে। পানি যখন অনেক শীতল হয়ে বরফের কাছাকাছি আসে তখনই কেবল পোনাগুলো বের হয়ে আসে।

আর একারণে জন্মের সময় একেকটি ছানা ৩ থেকে ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হয়। বড় এলপাউট মাছ সর্বোচ্চ ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। আর ওজন হয় ৫ কেজিরও বেশি। এই মাছ বাস করে সমুদ্রের কিনারায় পাথরের তলায়। পাথরের গায়ে লেগে থাকা বিভিন্ন শৈবাল এবং অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ এই মাছগুলোর প্রধান খাবার। এলপাউট মাছ পানি ছাড়াও বেঁচে থাকতে পারে। বিশেষ প্রয়োজনে পাথরের নিচে কোনো স্যাঁতসেঁতে স্থান বা সমুদ্রের কোনো আগাছার নিচে চুপটি করে বসে থাকতে পারে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাচ্চাদের দুধ খাওয়ায় যে মাছ

Update Time : ১২:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০

সারাাদেশ ডেস্ক : স্থলচর প্রাণী মায়ের দুধে খেয়ে বেঁচে থাকে। কিন্তু মাছ পানিতে থাকা সত্যেও যে মায়ের দুধে বেঁচে থাকে, এমন চমকপ্রদ তথ্য জানালেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

সাধারণত দেখা যায়, মা মাছ ডিম দেয়, বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, খেতে-খেলতে শেখায়। শুধু তাই নয়, অন্য কোনো প্রাণী যেন বাচ্চাদের আক্রমণ না করে বা খেয়ে না ফেলে সে দিকেও খেয়াল রাখে মা মাছ। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমনও মাছ আছে যারা বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়ায়।

এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটেনিকাতে বলা হয়েছে, এলপাউট নামক একধরনের মাছ বাচ্চাদের দুধ খাওয়ায়। সেখানে বলা হয়েছে, স্থলচর প্রাণীরা তাদের বাচ্চাদেরকে জন্মের পরে দুধ খাওয়ায়। কিন্তু এই মাছেরা তাদের বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়ায় জন্মানোর আগেই। মায়ের পেটে থাকা অবস্থায়ই এই মাছের পোনা দুধ খেয়ে বড় হতে থাকে। এরপর যখন উপযুক্ত হয়ে যায় তখনই তারা জন্ম নেয়। এক কথায় বলা যায়, এই মাছের বাচ্চারা শক্তপোক্ত হয়েই জন্ম নেয়।

এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটেনিকায় আরো উল্লেখ আছে, এলপাউট মাছগুলো জেরসিডি পরিবার সদস্য। এই পরিবারে প্রায় ২৫০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। এসব মাছ দেখতে বেশ লম্বা। এরা সামুদ্রিক এবং শীতল পানির মাছ। এ কারণে এদেরকে আর্কটিক এবং অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এলপাউট মাছ ইউরোপের বিভিন্ন সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকায়ও দেখা যায়। বিশেষ করে বাল্টিক সাগরের অন্যতম সাধারণ প্রজাতির মাছ এটি। এছাড়া্ও ইংলিশ চ্যানেলের কাছে অনেক বেশি দেখা যায়। এলপাউট মাছ প্রজনন মৌসুমে একবারে ৩০ থেকে ৪০০টি পর্যন্ত পরিণত বাচ্চার জন্ম দিয়ে থাকে। যেহেতু মায়ের পেটে তারা দুধ খেয়ে থাকে তাই এরা জন্মের সময়ই বেশ লম্বা হয়। যখন পোনাগুলোর মনে হয় তারা যথেষ্টই বড়ো হয়ে গেছে তখন তারা বেরিয়ে আসে। এভাবে মায়ের পেটে ছয়মাস পর্যন্ত কাটিয়ে দেয় এলপাউটের পোনাগুলো।

বিজ্ঞানীদের মতে, অন্যান্য মাছের মতোই এলপাউট মাছের পেটে ডিম বড় হয়। কিন্তু যে বিষয়টি ব্যতিক্রম তা হলো, এই মাছের পেটের মধ্যেই জন্ম নেয় খুদে খুদে পোনাগুলো। কিন্তু মায়ের পেট থেকে বের হয়না। পেটের ভিতরে থেকেই দুধ খায় আর বড় হয়। বড় হলে পোনাগুলো পেট থেকে বের হয়ে আসে ঠিকই তবে সবসময় আবার তারা বের হয় না। তারা মায়ের পেট থেকে বের হবার জন্য শীতকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে। পানি যখন অনেক শীতল হয়ে বরফের কাছাকাছি আসে তখনই কেবল পোনাগুলো বের হয়ে আসে।

আর একারণে জন্মের সময় একেকটি ছানা ৩ থেকে ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হয়। বড় এলপাউট মাছ সর্বোচ্চ ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। আর ওজন হয় ৫ কেজিরও বেশি। এই মাছ বাস করে সমুদ্রের কিনারায় পাথরের তলায়। পাথরের গায়ে লেগে থাকা বিভিন্ন শৈবাল এবং অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ এই মাছগুলোর প্রধান খাবার। এলপাউট মাছ পানি ছাড়াও বেঁচে থাকতে পারে। বিশেষ প্রয়োজনে পাথরের নিচে কোনো স্যাঁতসেঁতে স্থান বা সমুদ্রের কোনো আগাছার নিচে চুপটি করে বসে থাকতে পারে।

এসএস//