নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কলাবাগানে নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় আনা মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার ২৬ অক্টোবর দুপুরে তাকে পুরান ঢাকার সোয়ারি ঘাট বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই এলিট বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সোমবার দুপুরে গনমাধ্যমকে বলেন, সোয়ারি ঘাট এলাকায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের একটি বাড়ি আছে, সেটা ঘেরাও করে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। পরে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, আমাদের টিমের সদস্যরা হাজী সেলিমের ছেলেকে হেফাজতে নিয়েছে। ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও ।
রোববার রাতে ধানমণ্ডি এলাকায় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সোমবার ২৬ অক্টোবর থানায়একটি মামলা হয়। মামলায় ইরফান সেলিম ছাড়াও হাজি সেলিমের প্রোটকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর, জখম ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনেছেন মামলার বাদী নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান। মামলা হওয়ার পরপরই গাড়ির চালক মিজানুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬) পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা ল্যান্ড রোভার গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ওই গাড়ীতে থাকা লোকজন এক পর্যায়ে নৌ কর্মকর্তাকে ব্যাপক মারধর করেন। তারা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ ও তার স্ত্রীকে ‘উঠিয়ে নেয়ার এবং হত্যার’ হুমকি দেয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই ঘটনার পরে একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোবাইল ফোনে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফের বক্তব্য ধারণ করেন, যা ইতোমধ্যে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তাকে রক্তাক্ত মুখে বলতে শোনা যায়, তিনি পরিচয় দেয়ার পরও তাকে মারধর করা হয়েছে, তার স্ত্রীর গায়েও ‘হাত দিয়েছে’।
ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী জানান, গাড়িটি ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের হলেও ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না। গাড়িতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ছিলেন।
এসএস//
Leave a Reply