1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মারা গেছেন - সারাদেশ.নেট
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার হাইকোর্টে ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ খালাস পেলেন যুবদল নেতা আইনজীবী নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত হলেন এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মারা গেছেন

  • Update Time : শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

আদালত প্রতিবেদক : দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আর নেই (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ শনিবার ২৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর মগবাজারের আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

তার মৃত্যুর বিষয় সাংবাদিকদের জানান আদ্-দ্বীন হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন। বুধবার ২১ অক্টোবর ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তিনি হাসপাতালের ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তাকে বার্ধক্যজনিত ইউরিন ইনফেকশন ও রক্ত শূন্যতার কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আজ এক শোকবার্তায় প্রধান বিচারপতি বলেন, রফিক-উল হক একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। আইনের শাসন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তার অবদান অনস্বীকার্য।
এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন সাবেক এটর্নি জেনারেল বিশিষ্ট আইনজীবী রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দূঃখ প্রকাশ করেছেন।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের জানাজা সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর দুইটায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় আদ্-দ্বীনে সাড়ে দশটায়। এরপর নিজ বাসা পল্টনে নেয়া হয় রফিক-উল- হকের মরদেহ। বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমের পর সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে ২টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে।

আইন পেশায় ৬০ বছর পার করা এই আইনজীবী এটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। দেশের আলোচিত অনেক মামলার আইনজীবী ব্যারিষ্টার রফিক উল হক।
নিজের প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে দেশের উচ্চ আদালতকে সহযোগিতা করতে অনেকবার হয়েছেন (অ্যামিকাস কিউরি) আদালতের বন্ধু। দেশের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবীর সান্নিধ্যে এসে আইন পেশায় সফল হয়েছেন অনেকই।

জীবনের দীর্ঘ পথচলায় শুধু বাংলাদেশই নয়, ভারত, পাকিস্তান ও ব্রিটেনের নাগরিক হওয়ার বিরল অভিজ্ঞতা অর্জন করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত থাকার প্রেক্ষাপটে ইন্দিরা গান্ধী, নেহরু ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য পেয়েছেন এই আইনজীবী। হিন্দু আইন নিয়ে বার-কঅ্যাট-ল করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু আইনের ক্লাস নিয়েছেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক। এছাড়া বিভিন্ন সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
দেশের প্রথিতযশা এই আইনজীবী নিজের উপার্জিত অর্থের একটা বড় অংশই ব্যয় করেছেন সমাজ সেবামূলক কর্মকাণ্ডে। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠা করেছেন বেশ কয়েকটি হাসপাতাল, এতিমখানা, মসজিদ ও মেডিক্যাল কলেজ। এছাড়া যেখানে সুযোগ পেয়েছেন সেখানেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মানবতার সেবায়।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালে কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মুমিন-উল হক পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। আর মা নূরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। কলকাতার সুবর্ণপুরেই রফিক-উল হকের শৈশব ও কৈশোর কাটে।
১৯৫১ সালে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। এরপর ১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ১৯৫৭ সালে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এই সময়ে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে পর পর দুবার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ সালে এলএলবি পাস করে পরবর্তীকালে আইনজীবী হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে পেশাজীবন শুরু করেন।
১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বার-এট-ল করে চলে আসেন ঢাকায়। ১৯৬৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ১৯৭৩ সালে আপিল বিভাগে সিনিয়র আইনজীবী হন রফিক-উল হক। তার একমাত্র ছেলে ফাহিমুল হক একজন ব্যারিস্টার। এর আগে ২০১১ সালে রফিক উল হকের চিকিৎসক স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

২০০৭-২০০৮ ইং সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে বিশেষ প্রশংসিত হন তিনি।

ডিএ//এসএস

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *