মাগুরা প্রতিবেদক : মাগুরায় ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিয়মান প্রায় ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘের মহাসড়কের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই কিছু অংশে ফাটল ও গর্ত তৈরি হয়েছে।
ফলে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শহরের পিটিআই এলাকায় গর্ত তৈরি হওয়ায় কিছু অংশে সংস্কার করতে হচ্ছে। সড়ক নির্মাণ শেষ না হতেই এ ধরনের সংস্কারের হতবাক স্থানীয় এলাকাবাসী।
অন্যদিকে ভূমি অধিগ্রহণে বেশি দামের দাবিতে সৈয়দ নাজমুল হক নামে একজনের মামলায় এ মহাসড়কের ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড ও পারনান্দুয়ালী এলাকার কিছু অংশের স্থাপনা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। এ কারণে সম্পূর্ণ কাজটি নির্ধারিত সময়ে শেষ না হবার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
মাগুরা সড়ক ও জনপথের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্র জানায়, ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে মাগুরা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পুলিশ লাইনস থেকে রামনগর এলাকা পর্যন্ত মোট ৮.১৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। যার মধ্যে যুব উন্নয়ন অফিস এলাকা থেকে পুলিশ লাইনস পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক ৪ লেনের এবং বাকি অংশ ২ লেনের। এরমধ্যে ৪.১৫ দৈর্ঘ্যের ২ লেনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
পুরোপুরি শেষ হয়েছে শহরের মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন অফিস এলাকা থেকে ভায়না এলাকা পর্যন্ত ৪ লেন সড়কের অংশের কাজ। ৪ লেনের বাকি অংশের মধ্যে শেষ হয়েছে ভায়না থেকে পুলিশ লাইনস ও যুব উন্নয়ন-কুছুন্দি ইউনিয়ন অফিস পর্যন্ত এলাকার কাজ। কাজের দায়িত্বে রয়েছে এম এম বিল্ডার্স ও এ এস কনস্ট্রাকশন নামে দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষের মেয়াদ ছিল জুন ২০১৯। নানা জটিলতায় কাজ শেষ না হওয়ায় বাড়ানো হয় কাজের মেয়াদ।
৪ লেনের যেটুকু কাজ শেষ হয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ দাবি করছে, এরমধ্যে শহরের পিটিআই এলাকায় সোমবার ২০ অক্টোবর সকালে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে কিছু অংশ জুড়ে ইতোমধ্যে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, ভায়না এলাকায় ডিভাইডারের একটি অংশ ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, কাজ শেষ হবার কিছুদিনের মধ্যে অন্তত ১৫ স্থানে এ গর্ত ও ফাটল বর্তমান রয়েছে। যার ওপর দিয়েই চলেছে যানবাহন।
শহরের পিটিআই এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান সেখানে তড়িঘড়ি করে সংস্কারের করার জন্য নষ্ট হওয়া রাস্তা কাটার কাজ শুরু করেছে। এতো টাকার মহাসড়ক উন্নয়ন শেষ না হতেই নষ্ট হয়ে যাওয়া অত্যন্ত লজ্জার। কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ এ ক্ষেত্রে তাদের দায় এড়াতে পারে না। কাজের মান পরীক্ষার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা মনে করছেন,নিম্নমানের কাজ শেষ করে ঠিকাদার চলে গেলে রাস্তা আবার ভাঙ্গাচূড়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়বে চলাচলকারী মানুষেরা।
এদিকে সড়কের নির্মণের এ দূরাবস্থা পাশাপাশি তথ্যানুসন্ধানে আরও জানা যায়, ৪ লেনের মধ্যে একতা কাঁচা বাজার এলাকা থেকে পারনান্দুয়ালীর কিছু অংশে নির্মাণ কাজ এখনো শুরু করা যায়নি।
এসএস//
Leave a Reply