Dhaka ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কারাফটকে বিয়ে, তারপর জামিনের বিষয় : হাইকোর্ট

  • Update Time : ০১:৪৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০
  • / ২২ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক: ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ভুক্তভোগী মেয়েটির মধ্যে কারা ফটকে বিয়ের আয়োজন করতে রাজশাহী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিয়ের পর ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর পরেই আসবে জামিনের বিষয়টি।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার ওই আদেশ দেন। দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পর জামিন চেয়ে দিলীপ নামের ওই আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে ওই আদেশ দেয়া হয়।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহেদ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন জানান, জামিন পেলে ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ে করবেন উল্লেখ করে দিলীপ জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট কারাফটকে ভুক্তভোগী ও দিলীপের বিয়ের আয়োজন করতে রাজশাহী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে বলেছেন। আর বিয়ের ত্রিশ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই শর্তে জামিন দেয়া হবে বলেছেন আদালত।
রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার দিলীপ খালকোর সঙ্গে তার খালাতো বোনের (ভুক্তভোগী) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। খালাতো বোনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দৈহিক সম্পর্কে জড়ান দিলীপ। এতে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেন দিলীপ। এ নিয়ে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে তখন মীমাংসার উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর এগোয়নি।

২০১১ সালের ২৫ অক্টোবর দিলীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী। এ মামলায় ২০১২ সালের ১২ জুন বিচারিক আদালত রায় দেন। এই রায়ে দিলীপকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। যখন ভুক্তভোগী মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হন, তখন তার বয়স ১৪ বছর ছিল বলে ওই রায়ে বলা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন দিলীপ। আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এরপর জামিন চেয়ে সম্প্রতি আবেদন করে দিলীপ, যা বৃহস্পতিবার ২২ অক্টোবর শুনানির জন্য ওঠে। ২০১২ সালের রায়ের পর থেকেই দিলীপ কারাগারে আছেন।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কারাফটকে বিয়ে, তারপর জামিনের বিষয় : হাইকোর্ট

Update Time : ০১:৪৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক: ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ভুক্তভোগী মেয়েটির মধ্যে কারা ফটকে বিয়ের আয়োজন করতে রাজশাহী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিয়ের পর ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর পরেই আসবে জামিনের বিষয়টি।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার ওই আদেশ দেন। দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পর জামিন চেয়ে দিলীপ নামের ওই আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে ওই আদেশ দেয়া হয়।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহেদ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন জানান, জামিন পেলে ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ে করবেন উল্লেখ করে দিলীপ জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট কারাফটকে ভুক্তভোগী ও দিলীপের বিয়ের আয়োজন করতে রাজশাহী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে বলেছেন। আর বিয়ের ত্রিশ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই শর্তে জামিন দেয়া হবে বলেছেন আদালত।
রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার দিলীপ খালকোর সঙ্গে তার খালাতো বোনের (ভুক্তভোগী) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। খালাতো বোনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দৈহিক সম্পর্কে জড়ান দিলীপ। এতে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেন দিলীপ। এ নিয়ে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে তখন মীমাংসার উদ্যোগ নেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর এগোয়নি।

২০১১ সালের ২৫ অক্টোবর দিলীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী। এ মামলায় ২০১২ সালের ১২ জুন বিচারিক আদালত রায় দেন। এই রায়ে দিলীপকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। যখন ভুক্তভোগী মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হন, তখন তার বয়স ১৪ বছর ছিল বলে ওই রায়ে বলা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন দিলীপ। আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এরপর জামিন চেয়ে সম্প্রতি আবেদন করে দিলীপ, যা বৃহস্পতিবার ২২ অক্টোবর শুনানির জন্য ওঠে। ২০১২ সালের রায়ের পর থেকেই দিলীপ কারাগারে আছেন।

এসএস//