বিনোদন ডেস্ক: সংগীত,কবিতা আবৃত্তি এবং নৃত্য পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো শরৎ উৎসব।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এই উৎসব হয়। শুক্রবার ২৩ অক্টোবর বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া উৎসবের শুরুতেই আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী তার বক্তৃতায় সত্যেন সেনকে স্মরণ করে বলেন, সত্যেন সেন ১৯০৭ সালে মুন্সিগঞ্জে এমন স্বচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যে পরিবারটি সেসময় অত্র অঞ্চলে সংস্কৃতি চর্চার দিক থেকে বেশ প্রতাপশালী ছিল। পহেলা বৈশাখে রমনার যে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করে উদীচী, সেই উদীচী গড়ে তোলার সঙ্গেও ছিলেন সত্যেন সেন। জাতি সত্যেন সেন’কে চিরদিন স্মরণ রাখবে। তিনি ১৯৮৬ সালে একুশে পদক পেয়েছিলেন। আদমজী পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কারও পেয়েছিলেন।
শরতে সবাইকে কাশফুল দেখার আহ্বান জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “শরতের রূপ সাদা শ্বেতশুভ্র; কাশফুলের মতো। আপনারা এই সময়ে কাশফুল দেখতে যাবেন। রাজধানীতে বসুন্ধরায়, পূর্বাচলে, উত্তরায় কাশফুল দেখা যায়।”
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, “আমাদের দেশে ছয় ঋতু। পৃথিবীতে আর কোনো দেশে এমন ছয় ঋতু নেই। শুধু ঋতু থাকলে তো হবে না, মাসে মাসে ঋতুর যে বৈচিত্র সেটা আমাদের এখানে আছে। আবহাওয়া, জলবায়ুর যে তারতম্য আর সেই তারতম্যে সংস্কৃতির যে বৈচিত্র্য সেটিই আমাদেরকে ষড়ঋতুর দেশ করেছে। তেমনি এক ঋতু শরৎক কেন্দ্র করে আজকের এই আয়োজনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এমন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আমরা সংস্কৃতি চর্চার পরিসর খুঁজে পাই।”
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইটও বক্তৃতা করেন।
আলোচনা পর্বের পর শিল্পীদের সংগীত, নৃত্য এবং কবিতা আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে উৎসব শেষ হয়।
সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন। নৃত্যশিল্পী সালমা মুন্নির পরিচালনায় দলীয় নৃত্য পরিবেশন করা হয়। মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চার আয়োজনে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি একক কবিতা, শ্রাবণী গুহ রায়, এসএম মেজবা উদ্দিনসহ গুণী শিল্পীরা একক সংগীত পরিবেশন করেন।
এসএস//
Leave a Reply