Dhaka ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

সেই শিশুটিকে বাঁচানো গেল না

  • Update Time : ০২:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৭ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর কবরস্থানে গিয়ে নড়েচড়ে ওঠা সেই নবজাতক শিশুটি শেষ পর্যন্ত মারা গেছে।

বুধবার ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া সারাদেশ ডট নেট’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিশুটিকে রাত ১১টা ২৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা শিশুটিকে দাফনের জন্য রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে নিয়ে যান।

গত শুক্রবার ১৬ অক্টোবর ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ইয়াসিনের স্ত্রী শাহিনুর বেগম (২৭) একটি মেয়েশিশুর জন্ম দেন। জন্মের পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল থেকে মৃত্যুসনদ নিয়ে ইয়াসিন শিশুটিকে দাফনের জন্য রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে দাফনের খরচ পোষাতে না পেরে শিশুটিকে রায়েরবাজার কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কবর খোঁড়ার সময় শিশুটি নড়ে উঠে কাঁদতে থাকে। তখন ইয়াসিন তাকে আবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে নবজাতক ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
শিশুটিকে মৃত ঘোষণার ঘটনায় সমালোচনার মুখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। শিশুটির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গত মঙ্গলবার হাসপাতালের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন কর্তৃপক্ষ।

ওই সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালটির পরিচালক এ কে এম নাসিরউদ্দিন বলেন, জন্মের পর ওই নবজাতককে পৌনে এক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন চিকিৎসকেরা। এই সময়ের মধ্যে তার কোনো স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তাকে মৃত ঘোষণায় চিকিৎসকদের কোনো অবহেলা ছিল না। তিনি আরও বলেন, যেহেতু বাচ্চাটি কবরস্থানে গিয়ে নড়েচড়ে উঠেছে, তাই এর দায়ভার এড়ানো যায় না। এ ঘটনায় গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি কিছু সুপারিশ করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কিছু সুপারিশ রেখেছে। হাসপাতালের গঠিত কমিটি ও নবজাতক ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক মনীষা ব্যানার্জি একই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নবজাতকের বেঁচে যাওয়া যেমন একটি ‘মিরাকল (অলৌকিক ঘটনা)’, তেমনি তাকে বাঁচিয়ে রাখাও ‘মিরাকল’। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২৮ সপ্তাহের নিচে কোনো শিশু ভূমিষ্ঠ হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। আর এই শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছে ২৬ সপ্তাহে।

ইয়াসিনের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালঙ্গা গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে তুরাগের নিসাতনগর এলাকায় থাকেন।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সেই শিশুটিকে বাঁচানো গেল না

Update Time : ০২:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর কবরস্থানে গিয়ে নড়েচড়ে ওঠা সেই নবজাতক শিশুটি শেষ পর্যন্ত মারা গেছে।

বুধবার ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া সারাদেশ ডট নেট’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিশুটিকে রাত ১১টা ২৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা শিশুটিকে দাফনের জন্য রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে নিয়ে যান।

গত শুক্রবার ১৬ অক্টোবর ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ইয়াসিনের স্ত্রী শাহিনুর বেগম (২৭) একটি মেয়েশিশুর জন্ম দেন। জন্মের পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল থেকে মৃত্যুসনদ নিয়ে ইয়াসিন শিশুটিকে দাফনের জন্য রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে দাফনের খরচ পোষাতে না পেরে শিশুটিকে রায়েরবাজার কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কবর খোঁড়ার সময় শিশুটি নড়ে উঠে কাঁদতে থাকে। তখন ইয়াসিন তাকে আবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে নবজাতক ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
শিশুটিকে মৃত ঘোষণার ঘটনায় সমালোচনার মুখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। শিশুটির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গত মঙ্গলবার হাসপাতালের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন কর্তৃপক্ষ।

ওই সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালটির পরিচালক এ কে এম নাসিরউদ্দিন বলেন, জন্মের পর ওই নবজাতককে পৌনে এক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন চিকিৎসকেরা। এই সময়ের মধ্যে তার কোনো স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তাকে মৃত ঘোষণায় চিকিৎসকদের কোনো অবহেলা ছিল না। তিনি আরও বলেন, যেহেতু বাচ্চাটি কবরস্থানে গিয়ে নড়েচড়ে উঠেছে, তাই এর দায়ভার এড়ানো যায় না। এ ঘটনায় গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি কিছু সুপারিশ করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কিছু সুপারিশ রেখেছে। হাসপাতালের গঠিত কমিটি ও নবজাতক ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক মনীষা ব্যানার্জি একই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নবজাতকের বেঁচে যাওয়া যেমন একটি ‘মিরাকল (অলৌকিক ঘটনা)’, তেমনি তাকে বাঁচিয়ে রাখাও ‘মিরাকল’। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২৮ সপ্তাহের নিচে কোনো শিশু ভূমিষ্ঠ হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। আর এই শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছে ২৬ সপ্তাহে।

ইয়াসিনের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালঙ্গা গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে তুরাগের নিসাতনগর এলাকায় থাকেন।

এসএস//