Dhaka ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

হিরো আলমকে দেখতে হলের বাইরে ভিড়, ভেতরে ফাঁকা!

  • Update Time : ০৭:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০
  • / ১ Time View

বিনোদন ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ২১১ দিন বন্ধ থাকার পর দেশের সিনেমা হল গুলো ১৬ অক্টোবর খুলে দেয়া হয়েছে।
খোলার দিনই মুক্তি পায় আলোচিত সমালোচিত বগুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক সময়ে ডিস ও সিডি ব্যবসায়ী হিরো আলমের ছবি “সাহসী হিরো আলম।”
আর এজন্য হিরো আলম ছুটছেন এক প্রেক্ষাগৃহ থেকে আরেক প্রেক্ষাগৃহে।
একটি প্রাডো গাড়ি চরে ঘুরছেন হিরো আলম। তাঁকে ঘিরে প্রেক্ষাগৃহের বাইরে উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা গেলেও প্রেক্ষাগৃহের ভেতরে আসন ফাঁকা। নেই কোনো দর্শক। হাতে গোনা কয়েকজন।
হিরো আলম প্রযোজিত ও অভিনীত সিনেমা ‘সাহসী হিরো আলম’ মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহের এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে। হতাশ হয়েছে প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ।
মহামারি করোনার করাণে লম্বা সময় বিরতির পর এমন একটি ছবির মুক্তির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি “রাজধানীর আনন্দ ও ছন্দ প্রেক্ষাগৃহের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামসুউদ্দিন।” তিনি জানান,২১১ দিন পর সিনেমা হল খুলে এমন ছবি যদি দর্শক দেখেন, তাহলে দ্বিতীয়বার তাঁরা আর আসবেন না। এমনিতেই একে একে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার উপর ভালো সিনেমা না হলে দর্শক কেন ছবি দেখবেন?
সাহসী হিরো আলম..এটা কেমন ছবি, কেন ছবি? তা–ও বুঝলাম না। সেন্সর বোর্ডই–বা কীভাবে এটিকে সিনেমা হিসেবে মুক্তি দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে। এর চেয়ে যদি আগে মুক্তি পাওয়া সিনেমাও মুক্তি দিতাম, তাহলে ভালো হতো। খুবই খারাপ। কতটা খারাপ ব্যবসা বলে বোঝাতে পারব না। সিনেমা হলের বাইরে ভিড়, অথচ ভেতরে চেয়ার এক্কেবারেই খালি!’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিরো আলমের এই ছবিটি ৩৯টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ওই সব প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষও জানায়, শুরুর দিন অল্প কয়েকজন দর্শক থাকলেও এখন তা একেবারেই কমে গেছে। প্রদর্শনীও কমিয়ে আনতে হয়েছে।

আনন্দ ও ছন্দ প্রেক্ষাগৃহের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামসুউদ্দিন বললেন,‘সিনেমা চললে, আমাদের খরচ আছে। অন্যান্য সময় খরচ উঠে এলেও এই ছবির ক্ষেত্রে পকেট থেকে টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এমনটা হবে, কোনো দিনও ভাবিনি।’
ছবি মুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়া উচিৎ বলে প্রদর্শকরা মনে করেন। একটি চলচ্চিত্র সমাজের জন্য অনেক ইতিবাচক আবদান রাখতে সক্ষম। তাই এ শিল্প বাঁচাতে এখনই সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হিরো আলমকে দেখতে হলের বাইরে ভিড়, ভেতরে ফাঁকা!

Update Time : ০৭:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০

বিনোদন ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ২১১ দিন বন্ধ থাকার পর দেশের সিনেমা হল গুলো ১৬ অক্টোবর খুলে দেয়া হয়েছে।
খোলার দিনই মুক্তি পায় আলোচিত সমালোচিত বগুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক সময়ে ডিস ও সিডি ব্যবসায়ী হিরো আলমের ছবি “সাহসী হিরো আলম।”
আর এজন্য হিরো আলম ছুটছেন এক প্রেক্ষাগৃহ থেকে আরেক প্রেক্ষাগৃহে।
একটি প্রাডো গাড়ি চরে ঘুরছেন হিরো আলম। তাঁকে ঘিরে প্রেক্ষাগৃহের বাইরে উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা গেলেও প্রেক্ষাগৃহের ভেতরে আসন ফাঁকা। নেই কোনো দর্শক। হাতে গোনা কয়েকজন।
হিরো আলম প্রযোজিত ও অভিনীত সিনেমা ‘সাহসী হিরো আলম’ মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহের এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে। হতাশ হয়েছে প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ।
মহামারি করোনার করাণে লম্বা সময় বিরতির পর এমন একটি ছবির মুক্তির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি “রাজধানীর আনন্দ ও ছন্দ প্রেক্ষাগৃহের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামসুউদ্দিন।” তিনি জানান,২১১ দিন পর সিনেমা হল খুলে এমন ছবি যদি দর্শক দেখেন, তাহলে দ্বিতীয়বার তাঁরা আর আসবেন না। এমনিতেই একে একে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার উপর ভালো সিনেমা না হলে দর্শক কেন ছবি দেখবেন?
সাহসী হিরো আলম..এটা কেমন ছবি, কেন ছবি? তা–ও বুঝলাম না। সেন্সর বোর্ডই–বা কীভাবে এটিকে সিনেমা হিসেবে মুক্তি দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে। এর চেয়ে যদি আগে মুক্তি পাওয়া সিনেমাও মুক্তি দিতাম, তাহলে ভালো হতো। খুবই খারাপ। কতটা খারাপ ব্যবসা বলে বোঝাতে পারব না। সিনেমা হলের বাইরে ভিড়, অথচ ভেতরে চেয়ার এক্কেবারেই খালি!’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিরো আলমের এই ছবিটি ৩৯টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। ওই সব প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষও জানায়, শুরুর দিন অল্প কয়েকজন দর্শক থাকলেও এখন তা একেবারেই কমে গেছে। প্রদর্শনীও কমিয়ে আনতে হয়েছে।

আনন্দ ও ছন্দ প্রেক্ষাগৃহের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামসুউদ্দিন বললেন,‘সিনেমা চললে, আমাদের খরচ আছে। অন্যান্য সময় খরচ উঠে এলেও এই ছবির ক্ষেত্রে পকেট থেকে টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এমনটা হবে, কোনো দিনও ভাবিনি।’
ছবি মুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়া উচিৎ বলে প্রদর্শকরা মনে করেন। একটি চলচ্চিত্র সমাজের জন্য অনেক ইতিবাচক আবদান রাখতে সক্ষম। তাই এ শিল্প বাঁচাতে এখনই সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে।

এসএস//