হানাদারের বোমায় নিহত ঝিনাইদহের মোকছেদুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির রিট
- Update Time : ১২:৩৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০
- / ০ Time View
আদালত প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালের সংঘটিত স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ৫ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর ছোড়া বোমার আঘাতে নিহত হন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা গিলাবাড়ীয়া গ্রামের মোকছেদুর রহমানের স্ত্রী, সন্তানসহ ৫ জন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন সময়ে ওই পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু দেশ স্বাধীনের ৪৮ বছর অতিবাহিত হলেও পরিবারকে শহীদ বা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। এখন সেই মোকছেদুর রহমানকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পরিবারের বেঁচে যাওয়া এক সন্তান হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন। রিটে তার পরিবারকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সোমবার ১৯ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মিজানুর রহমানের পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।
রিটে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গিলাবাড়ীয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মরহুম পিতাকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে ও তার পরিবারকে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি এবং তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
রিটে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, ঝিনাইদহ জেলার ডেপুর্টি কমিশনারসহ (ডিসি) ৫ জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন রিট করার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
২০২০ সালের ২৫ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে “স্বাধীনতাযুদ্ধে পাঁচ স্বজন হারিয়ে স্বীকৃতি মেলেনি তাদের” প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও স্বীকৃতি পায়নি একসঙ্গে পাঁচ স্বজন হারানো ঝিনাইদহের একটি পরিবার। স্বজন হারানো আর বোমার স্প্লিন্টারের আঘাত আজও মনে করিয়ে দেয় ভয়াবহ সেই দিনের কথা। এত বছর পেরিয়ে গেলেও আজও স্বীকৃতি মেলেনি তাদের। ভাতা বা সুযোগ-সুবিধা নয়,পরিবারটি শুধু চায় সম্মান। পাক হানাদার বাহিনীর ছোড়া বোমার চিহ্ন এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গিলাবাড়ীয়া গ্রামের চায়না খাতুন।
এসএস//