বিশেষ প্রতিবেদক: বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালন করার প্রস্তাব এসেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।
আজ রোববার ১৮ অক্টোবর সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রস্তাব তোলা হয়।
শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, একসময় যখন মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না তখনও যাতে তাদের স্মরণ করা হয় সে কারণে মুক্তিযোদ্ধা দিবস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাতীয় বীর’ উপাধি দিয়ে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি এর আগে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম থেকে করা হয়।
২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি পল্টনে এক মহাসমাবেশ করার পর ওই বছর থেকেই সারা দেশে ১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে ফোরাম।
শাজাহান আরো বলেন, সরকারি ঘোষণা না থাকলেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। সরকার যদি গেজেট করে একটা দিবস ঘোষণা করে তখন সেটা পালন করার একটা বাধ্যবাধকতা থাকে। আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি। তারা এখন সেটা মন্ত্রিসভায় তুলবে। মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বচ্ছল জীবনযাপনের জন্য চলতি অর্থবছর থেকে তাদের মাসিক সম্মানী আট হাজার টাকা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বৈঠকের আরও জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট সাধারণ শিক্ষায় অধ্যয়নরত প্রতিজনকে এক হাজার টাকা এবং মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত প্রত্যেককে এক হাজার ৫০০ হারে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৪৬০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে।
শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এবং কাজী ফিরোজ রশীদ অংশ নেন।
এসএস//
Leave a Reply