Dhaka ০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

মানুষকে জান্নাতি করে দেয় যে ঋণ

  • Update Time : ১২:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
  • / ০ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : পরকালে জান্নাতবাসী হতে চায়না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু জান্নাত লাভ করতে হলে ইবাদত বন্দেগির বিকল্প কোনো কিছুই নেই। এর মধ্যে অন্যতম হলো- ‘মানুষকে ঋণ দেওয়া

অনেকের অর্থ সম্পদ বেশী থাকা সত্তেও মানুষের বিপদে ঋণ দিতে গড়িমসি করেন। তাদের চিন্তা, ঋণ গ্রহিতা যদি তা যথা সময়ে পরিশোধ করতে না পারেন। ঋণদাতার জন্য এখানেই সর্বোত্তম সুযোগ। এ সুযোগই ঋণদাতাকে জান্নাতে পৌঁছে দেয়। হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,‘নির্দিষ্ট সময়ে পুরো ঋণ ফিরিয়ে দিতে হিমশিম খাচ্ছে এমন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য সময় দেয়, ওই ব্যক্তিকে এমন সওয়াব দেয়া হবে- যেন সে প্রতিদিনই সমপরিমাণ টাকা সদকা করছে। আর ঋণ পরিশোধের সময় চলে যাওয়ার পরও যে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে আরও সময় বাড়িয়ে দেয়; তাতে অতিক্রম হওয়া প্রতিদিনের জন্য তাকে এমন সাওয়াব দেয়া হবে, যেন সে প্রতিদিন ধার দেয়া টাকার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা সদকা করছে।’ (মুসনাদে আহমাদ) জান্নাত লাভের জন্য ইবাদত-বন্দেগির কথা আসলেই অধিকাংশ লোক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার করাকে বুঝে থাকেন। নিঃসন্দেহে এগুলো ইবাদত। কিন্তু এগুলো ছাড়াও অসংখ্য কাজ আছে, যেগুলো যথাযথভাবে করলে ইবাদতে পরিণত হয়। আর এর বিনিময়ে মানুষ এত অধিক পরিমাণ সাওয়াব লাভ করেন, যার ফলে তার জন্য জান্নাত সুনিশ্চিত হয়ে যায়। মানুষকে ঋণদান এবং তা পরিশোধে সময় দেয়া দান-সাদকার চেয়েও উত্তম বলা হয়েছে।

দান-সাদকায় সাওয়াব লাভের একটি হিসাব এসেছে কুরআনুল কারিমে। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-‘যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ-একটি বীজের মতো; যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে এক শ’ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৬১)মানুষকে ঋণ দেয়া দান-সাদকার চেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ। কেননা দান-সাদকার চেয়ে প্রয়োজন পূরণে ঋণ দেয়া-নেয়া অনেক বেশি কার্যকরী। হাদিসে এসেছে-হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, কাউকে দুই দিনার ঋণ দেয়া আমার কাছে এই দুটি দিনার কাউকে সদকা হিসেবে দেয়ার চেয়ে বেশি প্রিয়।’ (ইবনে আবি শায়বা)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, মানুষের বিপদ-আপদে ঋণ দেয়া। এ ঋণ দেয়ার সাওয়াব লাভের পাশাপাশি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি যথাসময়ে তা পরিশোধ করতে অক্ষম হয় তবে তাকে ঋণ পরিশোধে সময় দেয়া। কেননা হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী ঋণ পরিশোধে সময় দেয়ায় রয়েছে প্রতিদিন সমপরিমাণ ঋণের দ্বিগুণ সাওয়াব লাভের উপায়।

ঋণ পরিশোধে অপরাগ হলে তা পরিশোধে সময় দেয়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত দ্বিগুণ সাওয়াব লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মানুষকে জান্নাতি করে দেয় যে ঋণ

Update Time : ১২:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : পরকালে জান্নাতবাসী হতে চায়না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু জান্নাত লাভ করতে হলে ইবাদত বন্দেগির বিকল্প কোনো কিছুই নেই। এর মধ্যে অন্যতম হলো- ‘মানুষকে ঋণ দেওয়া

অনেকের অর্থ সম্পদ বেশী থাকা সত্তেও মানুষের বিপদে ঋণ দিতে গড়িমসি করেন। তাদের চিন্তা, ঋণ গ্রহিতা যদি তা যথা সময়ে পরিশোধ করতে না পারেন। ঋণদাতার জন্য এখানেই সর্বোত্তম সুযোগ। এ সুযোগই ঋণদাতাকে জান্নাতে পৌঁছে দেয়। হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,‘নির্দিষ্ট সময়ে পুরো ঋণ ফিরিয়ে দিতে হিমশিম খাচ্ছে এমন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধ করার জন্য সময় দেয়, ওই ব্যক্তিকে এমন সওয়াব দেয়া হবে- যেন সে প্রতিদিনই সমপরিমাণ টাকা সদকা করছে। আর ঋণ পরিশোধের সময় চলে যাওয়ার পরও যে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে আরও সময় বাড়িয়ে দেয়; তাতে অতিক্রম হওয়া প্রতিদিনের জন্য তাকে এমন সাওয়াব দেয়া হবে, যেন সে প্রতিদিন ধার দেয়া টাকার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা সদকা করছে।’ (মুসনাদে আহমাদ) জান্নাত লাভের জন্য ইবাদত-বন্দেগির কথা আসলেই অধিকাংশ লোক নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার করাকে বুঝে থাকেন। নিঃসন্দেহে এগুলো ইবাদত। কিন্তু এগুলো ছাড়াও অসংখ্য কাজ আছে, যেগুলো যথাযথভাবে করলে ইবাদতে পরিণত হয়। আর এর বিনিময়ে মানুষ এত অধিক পরিমাণ সাওয়াব লাভ করেন, যার ফলে তার জন্য জান্নাত সুনিশ্চিত হয়ে যায়। মানুষকে ঋণদান এবং তা পরিশোধে সময় দেয়া দান-সাদকার চেয়েও উত্তম বলা হয়েছে।

দান-সাদকায় সাওয়াব লাভের একটি হিসাব এসেছে কুরআনুল কারিমে। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-‘যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ-একটি বীজের মতো; যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে এক শ’ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৬১)মানুষকে ঋণ দেয়া দান-সাদকার চেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ। কেননা দান-সাদকার চেয়ে প্রয়োজন পূরণে ঋণ দেয়া-নেয়া অনেক বেশি কার্যকরী। হাদিসে এসেছে-হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, কাউকে দুই দিনার ঋণ দেয়া আমার কাছে এই দুটি দিনার কাউকে সদকা হিসেবে দেয়ার চেয়ে বেশি প্রিয়।’ (ইবনে আবি শায়বা)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, মানুষের বিপদ-আপদে ঋণ দেয়া। এ ঋণ দেয়ার সাওয়াব লাভের পাশাপাশি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি যথাসময়ে তা পরিশোধ করতে অক্ষম হয় তবে তাকে ঋণ পরিশোধে সময় দেয়া। কেননা হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী ঋণ পরিশোধে সময় দেয়ায় রয়েছে প্রতিদিন সমপরিমাণ ঋণের দ্বিগুণ সাওয়াব লাভের উপায়।

ঋণ পরিশোধে অপরাগ হলে তা পরিশোধে সময় দেয়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত দ্বিগুণ সাওয়াব লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এসএস//