Dhaka ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

শিশুর দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিবেন যেভাবে

  • Update Time : ০৯:৩৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
  • / ১ Time View

ডা: সৈয়দা ফারজানা আফরিন: শিশু বয়স থেকেই থেকেই দাঁত ও মাড়ির প্রয়োজনীয় যত্ন খুব জরুরী। শিশুর যে কোন ভালো খারাপ সব কিছুর জন্য বাবা মায়ের যত্ন অবহেলাই বেশীরভাগ সময় দায়ী।

অনেক সময় বাবা মায়ের অভ্যাস শিশুদের মধ্যে প্রভাব পড়ে। শিশুর সাথে সাথে তাই আপনাকেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

“আমাদের আজকের লেখায় রয়েছে আপনার এবং আপনার শিশুর জন্য কিছু দরকারি টিপস।”

শিশুর আগে নিজেরা সতর্ক হোন :

বাবা মা নিজেরা তাদের দাঁতের যত্ন না নিলে নিজেদের মাধ্যমে শিশুর দাঁতে সংক্রমণ হতে পারে। তাদের দাঁতের জীবাণু দ্বারা শিশুর দাঁতেও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে। তাই মা-বাবা দু’জনেরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ মেনে চলা উচিত্।

১। আপনার শিশুর ভালোর জন্য সিগারেট বা নিকোটিনযুক্ত যে কোন ধরনের নেশা পরিত্যাগ করুন।

২। বাবা-মা দুজনেরই সঠিক পদ্ধতি মেনে দাঁত ব্রাশ করা উচিৎ । যদি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি না জানা থাকে তা হলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে ভাল করে বুঝে নিন।

৩। গর্ভবতী মায়ের যদি দাঁতে ব্যথা হয় তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কোন ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না। এতে আপনার গর্ভস্থ শিশুর প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে।

৪। ছোট বাচ্চার মুখে মুখ লাগিয়ে আদর করবেন না। এতে আপনার মুখের ব্যাকটেরিয়া শিশুর মুখে সংক্রমিত হতে পারে।

শিশুর দাঁত ও মাড়ির কিছু দরকারি টিপসসদ্যোজাত শিশুর দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিন :

১। জন্মের পর থেকেই শুরু করে দিন শিশুর মাড়ির যত্ন। খুব নরম কাপড় আঙ্গুলে জড়িয়ে খুব সাবধানে শিশুর মাড়ি পরিস্কার করুন।

২। লক্ষ করুন শিশুর মুখে কোন দুর্গন্ধ আছে কিনা তাহলে বুঝতে হবে যে মাড়িতে কোন সংক্রমণ ঘটেছে।

৩। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় আপনি সতর্ক থাকুন। খেয়াল রাখুন আপনার স্তন এবং হাত যেন পরিস্কার থাকে।

৪। জন্মানোর পর থেকে যতদিন বুকের দুধ না ছাড়ে সে পর্যন্ত বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করুন। দুধের স্তর মাড়িতে শুকিয়ে শিশুর মাড়িতে ইনফেকশান হয়ে যেতে পারে। তাই নরম কাপড় দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত্।

শিশুর শৈশবকালীন এবং বয়ঃসন্ধির সময়ে দাঁত ও মাড়ির যত্ন ঃ

১। শিশু কথা বলা শুরু করলে ওরাল ক্রিম দিয়ে শিশুর মাড়ি মাসাজ করুন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাসাজ ক্রিম ব্যবহার করুন।

২। শিশুর দুধের দাত উঠতে শুরু করলে সব কিছুতেই কামড়ানোর চেষ্টা করে। তাই সংক্রমণের ভয় থাকে আরও বেশী। এই সময় শিশুদের মাড়ির উপযোগী নরম ব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে ব্রাশ করানো শুরু করুন।

৩। ছোটবেলা থেকেই আপনার শিশুকে নিয়ম করে দিনে ২ বার সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এবং রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করা শিখান।

৪। প্রতিদিন মাউথ ওয়াশ এবং ফ্লশিং করা ছোট বেলা থেকেই সেখানো উচিত্।

৫। যে সব শিশুরা একটু বেশি বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খায় তাদের দাঁতে ক্যারিজ হতে পারে। এই দাঁত গুলো তুলে না ফেলে সঠিক চিকিৎসা করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ তুলে ফেললে পরে আবার দাঁত উঠার সময় অসুবিধা হয়।

৬। চকলেট অথবা চিনিজাতীয় খাবার খেয়ে মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা শিখান আপনার শিশুকে।

শুরু থেকেই যত্নশীল ও সতর্কবান হোন আপনার শিশুর প্রতি। সুস্থ শিশুর নির্মল হাসিতে ভরে উঠুক স্বজনদের বুক।

(ডা: সৈয়দা ফারজানা আফরিন,
চিফ কনসালটেন্ট, আফরিন ডেন্টাল কেয়ার, রোড-৫, ব্লক-বি, বনশ্রী, রামপুরা)

এসএস/

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শিশুর দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিবেন যেভাবে

Update Time : ০৯:৩৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

ডা: সৈয়দা ফারজানা আফরিন: শিশু বয়স থেকেই থেকেই দাঁত ও মাড়ির প্রয়োজনীয় যত্ন খুব জরুরী। শিশুর যে কোন ভালো খারাপ সব কিছুর জন্য বাবা মায়ের যত্ন অবহেলাই বেশীরভাগ সময় দায়ী।

অনেক সময় বাবা মায়ের অভ্যাস শিশুদের মধ্যে প্রভাব পড়ে। শিশুর সাথে সাথে তাই আপনাকেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

“আমাদের আজকের লেখায় রয়েছে আপনার এবং আপনার শিশুর জন্য কিছু দরকারি টিপস।”

শিশুর আগে নিজেরা সতর্ক হোন :

বাবা মা নিজেরা তাদের দাঁতের যত্ন না নিলে নিজেদের মাধ্যমে শিশুর দাঁতে সংক্রমণ হতে পারে। তাদের দাঁতের জীবাণু দ্বারা শিশুর দাঁতেও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে। তাই মা-বাবা দু’জনেরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ মেনে চলা উচিত্।

১। আপনার শিশুর ভালোর জন্য সিগারেট বা নিকোটিনযুক্ত যে কোন ধরনের নেশা পরিত্যাগ করুন।

২। বাবা-মা দুজনেরই সঠিক পদ্ধতি মেনে দাঁত ব্রাশ করা উচিৎ । যদি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি না জানা থাকে তা হলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে ভাল করে বুঝে নিন।

৩। গর্ভবতী মায়ের যদি দাঁতে ব্যথা হয় তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কোন ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না। এতে আপনার গর্ভস্থ শিশুর প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে।

৪। ছোট বাচ্চার মুখে মুখ লাগিয়ে আদর করবেন না। এতে আপনার মুখের ব্যাকটেরিয়া শিশুর মুখে সংক্রমিত হতে পারে।

শিশুর দাঁত ও মাড়ির কিছু দরকারি টিপসসদ্যোজাত শিশুর দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিন :

১। জন্মের পর থেকেই শুরু করে দিন শিশুর মাড়ির যত্ন। খুব নরম কাপড় আঙ্গুলে জড়িয়ে খুব সাবধানে শিশুর মাড়ি পরিস্কার করুন।

২। লক্ষ করুন শিশুর মুখে কোন দুর্গন্ধ আছে কিনা তাহলে বুঝতে হবে যে মাড়িতে কোন সংক্রমণ ঘটেছে।

৩। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় আপনি সতর্ক থাকুন। খেয়াল রাখুন আপনার স্তন এবং হাত যেন পরিস্কার থাকে।

৪। জন্মানোর পর থেকে যতদিন বুকের দুধ না ছাড়ে সে পর্যন্ত বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করুন। দুধের স্তর মাড়িতে শুকিয়ে শিশুর মাড়িতে ইনফেকশান হয়ে যেতে পারে। তাই নরম কাপড় দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত্।

শিশুর শৈশবকালীন এবং বয়ঃসন্ধির সময়ে দাঁত ও মাড়ির যত্ন ঃ

১। শিশু কথা বলা শুরু করলে ওরাল ক্রিম দিয়ে শিশুর মাড়ি মাসাজ করুন। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাসাজ ক্রিম ব্যবহার করুন।

২। শিশুর দুধের দাত উঠতে শুরু করলে সব কিছুতেই কামড়ানোর চেষ্টা করে। তাই সংক্রমণের ভয় থাকে আরও বেশী। এই সময় শিশুদের মাড়ির উপযোগী নরম ব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে ব্রাশ করানো শুরু করুন।

৩। ছোটবেলা থেকেই আপনার শিশুকে নিয়ম করে দিনে ২ বার সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এবং রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করা শিখান।

৪। প্রতিদিন মাউথ ওয়াশ এবং ফ্লশিং করা ছোট বেলা থেকেই সেখানো উচিত্।

৫। যে সব শিশুরা একটু বেশি বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খায় তাদের দাঁতে ক্যারিজ হতে পারে। এই দাঁত গুলো তুলে না ফেলে সঠিক চিকিৎসা করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ তুলে ফেললে পরে আবার দাঁত উঠার সময় অসুবিধা হয়।

৬। চকলেট অথবা চিনিজাতীয় খাবার খেয়ে মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা শিখান আপনার শিশুকে।

শুরু থেকেই যত্নশীল ও সতর্কবান হোন আপনার শিশুর প্রতি। সুস্থ শিশুর নির্মল হাসিতে ভরে উঠুক স্বজনদের বুক।

(ডা: সৈয়দা ফারজানা আফরিন,
চিফ কনসালটেন্ট, আফরিন ডেন্টাল কেয়ার, রোড-৫, ব্লক-বি, বনশ্রী, রামপুরা)

এসএস/